বিধানসভার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু রাজ্যে সরকার গঠন নিয়ে এখনও তুঙ্গে শিবসেনা-বিজেপি কাজিয়া। এরই মধ্যে কংগ্রেসের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়৷ সোনিয়া গান্ধীর দল শিবসেনাকে প্রস্তাব দিয়েছে, তারা যদি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে, তাহলে সরকার গড়তে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস এবং এনসিপি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন উদ্ধব বা আদিত্য ঠাকরে। এনসিপি-ও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই প্রস্তাবে রাজি৷
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস, শিবসেনা ও এনসিপি – এই তিন দল এক সঙ্গে এলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই৷ সমস্যাটা অন্য জায়গায়৷ বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার সাহস কি উদ্ধব দেখাতে পারবেন? আর যাই হোন তিনি তো বালাসাহেব নন! উল্টো দিকে বিজেপির চাপও কিছু কম নয়। একটা সময় যারা শিবসেনার একটা দাবিও মানতে রাজি হচ্ছিল না, এখন তারা তাদের দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিচ্ছে৷ ১২ জন মন্ত্রী করার প্রস্তাবও হয়েছে৷ কিন্তু ৫০-৫০ এর ফর্মুলা থেকে সরতে নারাজ ঠাকরে শিবির।
রাজ্যে সরকার গঠনের দায়িত্ব এখন অমিত শাহের হাতে৷ কিন্তু কংগ্রেস-এনসিপির প্রস্তাবের ফলে পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই৷ শিবসেনাও দরাদরি করার মজবুত একটা জমি পেয়ে গিয়েছে৷ কংগ্রেসও মনে করছে, ছুঁৎমার্গ রেখে লাভ নেই৷ বিজেপির হাত থেকে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য কেড়ে নেওয়ার জন্য হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার সঙ্গেও হাত মেলানো যায়৷ তাই স্বরাষ্ট্র, অর্থের মতো দফতর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েও যখন শিবসেনার মন জয় করতে পারছে না বিজেপি, তখন তাদের মুখ্যমন্ত্রীত্বের টোপ দিয়ে জোট সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করল হাত শিবির।