দুদিন আগে ক্রিকেট দুনিয়ার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বুকিদের কাছ থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব এসেছিল বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কাছে। তবে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কাছে সেই তথ্য গোপন করায় তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দু বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে আইসিসি। শাস্তি ঘোষিত হওয়ার পর দিনই বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারটি সরে দাঁড়ালেন এমসিসি’র ক্রিকেট কমিটি থেকে, যাঁদের হাতে রয়েছে ক্রিকেট আইন সংক্রান্ত যাবতীয় দায়দায়িত্ব। তাঁদের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘এমসিসি নিশ্চিত করছে যে, সাকিব আল হাসান ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
মঙ্গলবারই দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয় ৩২ বছরের সাকিবকে। ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগরওয়ালের কাছ থেকে পাওয়া ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব আইসিসিকে না জানিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। অথচ এ বছরের জানুয়ারি ও আগস্টে পর পর দু’বার আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারটি। কিন্তু তাঁর কাছে যে গড়াপেটার প্রস্তাব এসেছিল, অফিসারদের সামনে তা গোপন রাখেন সাকিব। যার জেরে ঘোর অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। এই পরিস্থিতিতে এমসিসি’র ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না সাকিবের সামনে।
২০১৭-র অক্টোবরে এই কমিটিতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। গত দু’বছরে সিডনি ও বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত দুটি মিটিংয়ে হাজিরও ছিলেন।
এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটিতে রয়েছেন বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং আম্পায়াররা। বছরে দু’বার এই কমিটি ক্রিকেটের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে। পরবর্তী মিটিং রয়েছে শ্রীলঙ্কায়, ২০২০ সালের মার্চে। কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং বলেন, ‘ক্রিকেট কমিটি থেকে সাকিবের চলে যাওয়াটা দুঃখজনক। গত দু’বছরে ওর কাছ থেকে অনেক মূল্যবান পরামর্শ আমরা পেয়েছি। সাকিবের অবদানের কথা মাথায় রেখেও ক্রিকেটের স্পিরিটের স্বার্থে আমরা ওর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।’