কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গী হামলায় নিহত ৫ বাঙালি শ্রমিকের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের হাতে অর্থসাহায্য তুলে দিলেন পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্য করবে সরকার। এরপরই নবান্নের তরফে জানানো হয়, নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। এদিন গিয়ে সেই ক্ষতিপূরণের চেক পরিবারের হাতে তুলে দেন শুভেন্দু।
এদিন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন একই সঙ্গে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘুরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, ‘কাশ্মীরে এখন সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। ওখানকার প্রশাসন এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে’। তাঁর কথায়, ‘কে কোথাকার লোক সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা তাঁরা সবাই মানুষ’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে এই শ্রমিকদের। তাঁরা বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার মধ্যেই এই নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গীরা’।
কাশ্মীরে বাইরে থেকে আসা লোকেদেরই ইদানীং সন্ত্রাসবাদীরা আক্রমণের নিশানা করা হচ্ছে। এর কারণ স্থানীয় মানুষ মারা গেলে তারা এলাকায় কোনওরকম সাহায্য পাবে না, তাই বেছে বেছে বাইরের লোকেদের নিশানা করা হচ্ছে। গতকালও অনন্তনাগে একজন ট্রাক ড্রাইভারকে গুলি করে মেরেছে জঙ্গীরা। সেই সঙ্গে সোপোরে একটি বাস স্ট্যান্ড লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছে।