আইএসএলের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেও জিততে পারেনি জন আব্রাহামের নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। তবে শনিবার ঘরের মাঠ গুয়াহাটিতে প্রতিপক্ষ উড়িষ্যা এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠে এল পূর্বাঞ্চলের এই পাহাড়ি দলটি।
উড়িষ্যার বিরুদ্ধে ম্যাচের দু’মিনিটেই গোল করে নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন রিডিম লাং। সেই সঙ্গে দলের দ্রুততম গোলদাতা হওয়ার নজিরও গড়লেন ২৪ বছর বয়সি এই উইঙ্গার। শিলংয়ের লাজং এফসি থেকে উত্থান রিডিমের। ২০১৪ সাল থেকে তিনি নর্থইস্টের হয়ে খেলছেন। শনিবার রিডিমের গতি বারবার সমস্যায় ফেলেছে উড়িষ্যা ডিফেন্ডারদের।
ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই নর্থইস্টের ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট জার্নি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবলই হবে তাঁর অস্ত্র। তাই শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তোলেন আসামোয়ারা। তা সত্ত্বেও গতির বিরুদ্ধে ১৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল উড়িষ্যা। যদিও গোল করতে ব্যর্থ হন জেরি মাওমিংথাঙ্গা।
৩২ মিনিটে নর্থইস্টের পানাইয়োতিস সামালিদিসের শট বাঁচিয়ে দেন উড়িষ্যা গোলরক্ষক। তিন মিনিট পরে ফের গোল করার সুযোগ পেয়েছিল উড়িষ্যা। এ বার কার্লোস দেলগাদোর হেড অবিশ্বাস্য দক্ষতায় শরীর ছুড়ে বাঁচান নর্থইস্টের গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরী। আক্রমণ থেকে বল দখলের লড়াই— সব বিভাগে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে এক গোলের বেশি করতে পারেনি নর্থইস্ট।
দ্বিতীয়ার্ধে বিপক্ষের আক্রমণের ঝড় থামাতে ৪৬ মিনিটে শুভম ষড়ঙ্গীর পরিবর্তে নন্দকুমার সেকারকে নামান উড়িষ্যার স্পেনীয় কোচ জোসেপ গোম্বাউ। ৫৭ মিনিটে নন্দকুমার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। ৭১ মিনিটে স্বস্তি ফেরে উড়িষ্যা শিবিরে। গোল করে সমতা ফেরান ফ্রান্সিসকো মার্কোস। যদিও উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি উড়িষ্যা শিবিরে। ৭৩ মিনিটে রক্ষণের প্রধান ভরসা কার্লোস দেলগাদো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
এই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উড়িষ্যা। ম্যাচ শেষ হওয়ার ছ’মিনিট আগে নর্থইস্টের হয়ে জয়সূচক গোল করেন আসমোয়া। এ দিনের জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এটিকে-কে টপকে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে উঠে এল নর্থইস্ট। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে অবস্থান করছে এটিকে ও এফসি গোয়া।