বিগত ১১ মাস ধরে চরম সংকট চলছে ভারতের গাড়িশিল্পে। বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ি বাজারে এখন বিক্রি কমেছে সব সংস্থারই। বেশ কয়েকটি গাড়ির কারখানা বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকরি গিয়েছে গাড়িশিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা লক্ষ লক্ষ কর্মীর। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড জানাল, গত ত্রৈমাসিকে তার লাভ কমেছে ব্যাপক হারে। ২০১৬ সালের পর থেকে মুনাফা আর কখনই এত কমেনি। কোম্পানি একথা জানানোর পরেই বাজারে মারুতি সুজুকির শেয়ারের দাম কমেছে।
সম্প্রতি কর কমেছে গাড়ি শিল্পে। তাতেই লাভ হয়েছে কোম্পানির। তাছাড়া অক্টোবর মাসে উৎসবের মরসুমে গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। সুতরাং চলতি মাসে লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে। কিন্তু তা থেকে বলা যাবে না যে, গাড়ি শিল্প সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। মারুতি সুজুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেন, তাঁদের সংস্থা ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত ওয়াগনার আর হ্যাচব্যাক বিক্রি করতে পারবে না। কারণ সরকার ওই প্রকল্পে কোনওরকম সহায়তা করেনি।
ভারতের গাড়ি বাজারে ছোট ও কম তেল লাগে এমন গাড়ি বেশি বিক্রি হয়। ওই ধরনের গাড়ি তৈরি করে মূলত মারুতি ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা হুন্ডাই মোটর কর্পোরেশন। ভারতে গাড়ি শিল্পে মন্দার প্রধান কারণ হল গ্রামাঞ্চলে বিক্রি কমে যাওয়া। দেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ গ্রামে থাকে। সেখানে শ্যাম্পু থেকে বিস্কুট সবকিছুরই বিক্রি কমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে মন্দার মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি।