পাঁচ দিনের পাহাড় সফরে বুধবার তৃতীয় দিনে দার্জিলিং ও কালিম্পং নিয়ে কার্শিয়াং-এ প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের গড়িমসি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধমক দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সেই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। সরকারি প্রকল্প থেকে কাঠমানি খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। হিল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রকল্পের কথা উঠতেই তিনি জানতে চান, কত টাকা ব্যয়-বরাদ্দ আছে। তিনি জানতে পারেন, ৩৩০ কোটি টাকা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ চলছে। এত টাকা কেন লাগছে তা নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কত কম টাকায় রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। তাঁর আমলে রাজ্যে কতগুলি সুপার স্পেশালিটি হাস্পাতাল তৈরি হয়েছে তা উল্লেখ করেন তিনি। সরকারি আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন, এই ধরনের প্রকল্পের বাজেট কমিয়ে দিতে।
যাতে অপচয় রোধ করা যায়। এখানেই তিনি ঘুরিয়ে কাটমানির প্রসঙ্গ তোলেন। হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়-বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে মাত্র ৫০ কোটি টাকায় শেষ করার কথা বলেন। কাজ চলার সময় যাতে স্থানীয় কোনও চাপ না আসে তা দেখতে বলেন তিনি।
অন্যদিকে, পাহাড়ের চা নিয়েও তিনি প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। সবাই জানে, সারা বিশ্বে দাজিলিং চায়ের সমাদর কতটা। তিনি বলেছেন, পাশের দেশ নেপালের চা এখন নাকি দাজিলিং চা নামে বিক্রি হচ্ছে। এমনটা যাতে আর না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলেন মমতা।
এই প্রশাসনিক বৈঠকের বাকি সময়ে এলাকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। সরকারি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান সবকিছু। যেখানে দুর্বলতা দেখতে পেয়েছেন, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের মৃদু বকাবকি করেছেন। বাকি কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করারও নির্দেশ দেন মমতা।