মোদী সরকারের আর্থিক নীতিরও দিশা নেই বলে মনে করেন তিনি। তাই মোদী জমানায় দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে দফায় দফায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। আর নোবেল জয়ের পর তো আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল বলে মন্তব্য করে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে বিজেপি মহলে চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে। কটাক্ষ-সংঘাতের এমন আবহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হচ্ছেন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
সূত্রের খবর, সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নোবেলজয়ীকে। ওইদিনই আবার সকালে নীতি আয়োগ এবং আইসিএমআরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অভিজিৎবাবুর। তবে সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে ওই দুই বৈঠক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দেশে ফিরেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আগামীকাল, রবিবার তাঁর নিকটাআত্মীয় ও বন্ধুবর্গের সঙ্গে একটি ঘরোয়া পার্টি হওয়ার কথা। সোমবার দিল্লীতে তাঁর একটি বুক রিলিজ অনুষ্ঠান রয়েছে। ‘গুড ইকনমিক্স ফর ব্যাড টাইমস’ নামক ওই বইটি সেদিন প্রকাশিত হবে।
বস্তুত, একেবারেই লোকচক্ষু এড়িয়ে দেশে ফিরেছেন সদ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সবার অলক্ষেই নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লীগামী তাঁর বিমান ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়। সবমিলিয়ে বলা যায়, সম্প্রতি তাঁর নোবেল প্রাপ্তির পর থেকে যেভাবে অভিজিৎকে কখনও বামপন্থী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্প সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল বলে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রীরা কটাক্ষ করেছেন, সেই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মুখোমুখি হওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।