ভারতের প্রাক্তন জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার নিখাত জারিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসলেন কিংবদন্তি ভারতীয় বক্সার মেরি কমকে। তিনি চান পরের বছর অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সের আগে মেরির বিরুদ্ধে ট্রায়াল লড়াই লড়তে। এই দাবি লিখিত ভাবে জারিন পেশ করেছেন।
জারিনের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন অভিনব বিন্দ্রাও। বৃহস্পতিবার অলিম্পিকে সোনাজয়ী শুটার বিন্দ্রা টুইট করে বলেছেন, ‘মেরি কমকে আমি শ্রদ্ধা করি। নিষ্ঠার কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু অ্যাথলিটদের সব সময় প্রমাণ করে যেতেই হয়। গতকালের পারফরম্যান্সের কোনও দাম থাকে না। গতকালের থেকে আরও ভালো করতে হবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। অতীত কখনই ধর্তব্যের মধ্যে আসে না।’
জারিন লিখেছেন, ‘‘খেলার মূলমন্ত্র ‘ফেয়ার প্লে’। যত বার সুযোগ পাব তত বারই যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করব। অলিম্পিক্সের সোনাজয়ীকেও নিজের দেশে ট্রায়াল দিতে হয়।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘ছোট থেকে মেরি কমই প্রেরণা। ওঁর মতো মহান বক্সার হতে চাই। মেরি কিংবদন্তি। আশা করি ট্রায়ালের ডাকে উনি সাড়া দেবেন।’’ বক্সিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সে সরাসরি পাঠাচ্ছে ব্রোঞ্জজয়ীদের। জারিন বলেছেন, ‘‘এটা কেন হবে? অলিম্পিক্স সাঁতারে ২৩টি সোনা আছে মাইকেল ফেলপসের। তবু তাঁকে প্রতিবার নিজের দেশে ট্রায়াল দিতে হয়। অন্য দেশেও এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা উচিত।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আশা করি আমার দাবির যৌক্তিকতা বুঝে সেই মতো ফেডারেশনকে নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
রাশিয়ায় সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে মেরি ৫১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পান। এই বিভাগেই বিশ্ব আসরে নামতে চেয়েছিলেন জারিন। দল নির্বাচনের আগে তখনও ট্রায়ালের দাবি পেশ করেন। যা গ্রাহ্য করেনি বক্সিং ফেডারেশন। ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্স করায় মেরিকেই স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবে পাঠানো হয়। এ বারও সেই একই দাবি পেশ করার পাশাপাশি জারিন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ন্যায্য সুযোগ চাই। কিন্তু যে বিভাগে ট্রেনিং নিচ্ছি তার জন্য আমাকে লড়াই করার সুযোগই দেওয়া হয়নি। খেলাধুলোটা কিন্তু অসততার জায়গা নয়।’’
অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সে মেরিকেই পাঠানোর সিদ্ধান্ত এক রকম নিয়ে ফেলেছে জাতীয় বক্সিং সংস্থা। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর ব্রোঞ্জ জেতার স্বীকৃতি হিসেবে। আগে ঠিক ছিল, বিশ্ব আসরে যাঁরা সোনা বা রুপো জিতবেন তাঁদেরই যোগ্যতা অর্জনের টুর্নামেন্টে পাঠানো হবে। মেরির ক্ষেত্রেই নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে।