আগামী ফেব্রুয়ারিতে সকালে টিভিতে বিরাট-রোহিত, রাতে শচীন-সহবাগ। ভাবছেন কল্পনা? একদমই নয়। বরং বাস্তব। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিরাট-রোহিতরা থাকবেন নিউ জিল্যান্ড সফরে। আর ৪-১৬ ফেব্রুয়ারিই হবে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ। ওই ১২ দিনে বিরাটরা তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলবেন, ভারতীয় সময়ে যা শুরু হবে সকাল সাড়ে সাতটায় । আর শচীনদের লিগ হবে সন্ধে সাতটা থেকে।
পথ নিরাপত্তাকে সামনে রেখেই এই রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ। বিশ্বের এক নামী সংস্থার সমীক্ষা বলছে, গোটা বিশ্বে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মৃত প্রতি ১০০ জনে ৩০ জন ভারতীয়। ভারতে প্রতি চার মিনিটে এই কারণে একজন মারা যাচ্ছে। প্রতি বছরে মারা যাচ্ছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ।
অতীত অভিজ্ঞতা বলে ‘বুড়োদের লিগ’ মানুষকে সে ভাবে টানে না। সেই ধারণাটাই বদলে ফেলার চেষ্টা করছেন সংগঠকরা। গোটা পৃথিবী থেকে সেই ধরণের ক্রিকেটারদেরই নেওয়া হয়েছে, যাঁরা খুব বেশিদিন রিটায়ার করেননি। ম্যাসকট আছে, সুদৃশ্য ট্রফি আছে, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম পেজ আছে, লাইভ টেলিকাস্ট আছে। সঙ্গে নামী স্পনসর ও সচিন তেন্ডুলকর। আট ও নয়ের দশকে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম এখনও শচীনে মজে আর একটু-আধটু স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটতে কার না ইচ্ছে করে?
এই টুর্নামেন্ট কমিশনার হিসেবে সানি গাভাসকরের মতো কিংবদন্তিকে রাখাটা অবশ্যই মাস্টারস্ট্রোক। সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শচীন। ওয়াংখেড়েতে বাইশ গজে শচীন আর তার উল্টোদিকে বল হাতে ব্রেট লি। লোকে চেটেপুটে না খেয়ে যাবে কোথায়?
গাভাসকর যেমন বলছিলেন, “লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে আরও কড়া হতে হবে। এখানে খুব সহজে লাইসেন্স পাওয়া যায়। এটা বন্ধ করা দরকার”। আর শচীন বলছিলেন, “তিরিশ সেকেন্ড আগে পৌঁছলে কোনও বাড়তি সুবিধে পাওয়া যায় না। তবু মানুষ ছুটছে। কারও একটু থামার সময় নেই। এভাবে চলতে পারে না”।
এমন উদ্যোগে জড়িত থাকতে পেরে গর্বিত, বলছিলেন লারা। তিনি বলেন, “একে তো আইডিয়াটা দারুণ, দুই সচিন-সহ সবাই খুব কাছের বন্ধু। বহুদিন পর মাঠে নেমে খেলতে খারাপ লাগবে না”। সঙ্গে সংযোজন, “ভারতে এই যে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা, এটা খুব ভালো লাগে। কোথাও এটা নেই”।