উগ্র জাতীয়তাবাদীদের লম্ফঝম্প সবচেয়ে বেশি দেখা যায় যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই। কিন্তু এবার সেখানেই কিনা দেশপ্রেমের গান লেখা কবির কবিতা পাঠ করায় উপরমহলের কোপে পড়তে হল এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। ‘সারে জঁহান সে আচ্ছা, হিন্দুস্থান হামারা/ হম বুলবুলে হ্যায় ইসকি, ইয়ে গুলসিঁতা হমারা।’ এই কয়েকটি পংক্তি লিখেই আপামর ভারতবাসীর মনে জায়গা করে অমর হয়ে গিয়েছিলেন কবি মহম্মদ ইকবাল। কিন্তু কবির অপরাধ ছিল, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই তাঁর লেখা গান গাওয়ার ‘অপরাধে’ সাসপেন্ড করা হল যোগী রাজ্যের স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষক ফুরকান আলিকে। মূলত স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে।
জানা গেছে, কবি মহম্মদ ইকবালের লেখা ‘লব পে আতি হ্যায় দুয়া বন কে তামান্না মেরি’ কবিতাটি গান হিসেবে গাওয়ার রেওয়াজ ছিল তাঁর স্কুলে। অভিযোগ, সেই চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী দুই সংগঠনের নালিশের কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও যোগী প্রশাসন এই দাবি মানতে নারাজ। ওই স্কুলে নাকি প্রার্থনায় জাতীয় সংগীত গাওয়া হত না। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করে সাসপেন্ড হওয়া প্রধান শিক্ষক বলেছেন, নিয়মিত জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় তাঁর স্কুলে। পাশাপাশি অন্যান্য গানও করে পড়ুয়ারা। তাঁর দাবি, ‘ইকবালের কবিতাটি আলাদা ভাবে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তাদের উর্দু পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত। সেই কারণেই প্রার্থনাসভাতে প্রত্যেকদিন ইকবালের গান গাওয়া হয়। এছাড়াও জাতীয় সংগীতও হয় নিয়মিতভাবে।’ এরপরও কেন সাসপেন্ড করা হল ফুরকানকে? মুখে কুলুপ যোগী প্রশাসনের।