রুগ্ন ব্যাঙ্কগুলি বিক্রি করে সেই টাকায় অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। গভীর সঙ্কটের মুখে পড়া দেশের ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে বাঁচাতে কেন্দ্রকে এমনই নিদান দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মোদী সরকারকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফ-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের সতর্কবার্তা, রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা যতই উজ্জ্বল থাকুক না কেন, ভারতকে তার আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ভারতের প্রকৃত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ তাদের সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতি বীক্ষায় ২০১৯ সালে ভারতের বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৬.১ শতাংশে সীমাবদ্ধ রেখেছে। যদিও ২০২০ সালে ভারতের বৃদ্ধি ৭.১ শতাংশ হতে পারে বলে তাদের আশা। বুধবার বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আইএমএফ বার্ষিক বৈঠকে বসছে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে। তার আগে বিশিষ্ট ভারতীয়-মার্কিনি অর্থনীতিবিদ গোপীনাথের এই মন্তব্য কিছুটা হুঁশিয়ারির মতোই শোনাল।
গীতা গোপীনাথ জানাচ্ছেন, বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে মন্দা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা এবং সার্বিকভাবে ঋণ নেওয়ার অনীহা একটা খারাপ প্রভাব ফেলেছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ওপর। ব্যক্তিগত গ্রাহক থেকে শুরু করে ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ, সবাই ঋণ নেওয়া বন্ধ করেছে। তার একটা সম্মিলিত প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
তাঁর মতে, ভারতের সামনে এই মুহূর্তে যে সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে সবের মোকাবিলা করতে হলে আরও অনেক কিছু করার আছে। সবার আগে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোর হিসেবের খাতা সাফসুতরো করতে হবে। তিনি স্পষ্টই বলেন, আইএমএফ যে বলেছে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়াতে পারে, তা সম্পূর্ণই নির্ভর করছে ব্যাঙ্কগুলোর জমা-খরচের পরিস্থিতি কতটা শুধরোয়, অনুৎপাদিত সম্পদ কতটা পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই জট কাটিয়ে ওঠার ওপর।