পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও সেই ভাবে বৃষ্টি হয়নি। প্রায় শান্তিতেই ঘুরেছেন মানুষ। তবে একাদশীর দিন সকাল থেকে বাংলা জুড়ে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে। তারপরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি তবে আজ আচমকাই ফের ভিজল বাংলা। তবে এই বর্ষণ স্থায়ী নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৬ অক্টোবর পাকাপাকি ভাবে দেশ থেকে বিদায় নিতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
যদিও এ বছর বিদায় নেওয়ার ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়েছে বর্ষা। ইনিংস শেষে বেশ মেজাজেই দেখা গিয়েছে মৌসুমী বায়ুকে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দুর্গা পুজোর সময় ঢেলে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২০১৮ সালে স্বাভাবিকের থেকে কম পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল। তবে এ বছর বর্ষা দেরিতে এলেও স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। আবহাওয়া দফতরের লং পিরিয়ড অ্যাভারেজের (এলপিএ) হিসেবে ২০১৯ সালের বর্ষার মরশুমে ১১০ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে।
তবে দেরিতে এলেও ঢেলে বৃষ্টি হয়েছে এ বছর। শুরুর দিকে খানিক ঘাটতি থাকলেও পরে সক্রিয় হয় মৌসুমী অক্ষরেখা। সঙ্গে দোসর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্ত। মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে গত ২৫ বছরে এত বৃষ্টি দেয়নি কোনও বর্ষা। ১৯৯৪ সালের পরে এতটা বর্ষার বৃষ্টি পায়নি দেশ। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়িত্ব থাকে বর্ষাকালের। তবে এ বছর বৃষ্টি হয়েছে জুন থেকে অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় ভাগ থেকেই তেজ কমতে থাকে বৃষ্টির। দুর্বল হয় মৌসুমী অক্ষরেখা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেয় বর্ষা।