মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ স্ট্র্যাটেজিতে চমক দেখাতে পারবেন কি? সেই আশাতেই প্রহর গুনছেন ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা। সমস্ত শক্তি দিয়ে আজ মাঠে নামছেন ব্লু টাইগার্স। তাঁদের লক্ষ্য শুধু জেতা নয়। পাশাপাশি গোলপার্থক্য বাড়িয়ে রাখা। যার ফলে ভবিষ্যতে সুবিধা পাবেন সুনীলরা।
র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় একশো ধাপ পিছনে থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে অবিসংবাদিত ফেভারিট ভারতই। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে তা মেনেও নিয়েছেন। শিল্ড, সিএসজেসির হীরক জয়ন্তী ট্রফিতে ঢাকার ক্লাব দল খেলতে এলেও ১৯৮৭ সালে স্যাফ ফুটবলের পর এই প্রথম কলকাতায় খেলছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তাই ম্যাচটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অদ্ভূত আবেগ। অন লাইনে কাটা টিকিট সংগ্রহ করতে সল্টলেক স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেটে লম্বা লাইন।
সুনীল ছেত্রীর মতো ফুটবলার বলছেন, ‘কলকাতার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১৭ বছরের। জাতীয় দলকে ঘিরে এমন আবেগ আগে দেখিনি।’ মঙ্গলবারের ম্যাচে প্রেসিং ফুটবল খেলে বাজিমাত করতে চাইছেন ভারতের কোচ ইগর স্টিম্যাচ। বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন ১৪ মাস। তাঁর প্রশিক্ষণে ১৩টি ম্যাচ খেলে সাতটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আর হেরেছে ছ’টিতে। এই সময়কালে অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মোটেই আশাপ্রদ নয়। নয়ের দশকে বাংলাদেশ ফুটবলে রুমি-মুন্না-কাইজারের মতো কোয়ালিটি ফুটবলার ছিলেন। এই দলে উল্লেখিত ফুটবলারদের সমমানের ফুটবলার বলতে অধিনায়ক জামাল ভুইঁয়া।
মাঝের কয়েক বছর ক্রিকেটে বাংলাদেশের উত্থানে পিছু হটেছে ফুটবল। পাশাপাশি গত দুই-তিন বছরে ভারতীয় ফুটবলে এসেছে নতুন জোয়ার। হীনমন্যতা দূরে সরিয়ে চীন, কাতারের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই তার প্রমাণ। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার, চীন, জাপানের বিরুদ্ধে খেলার আগে মিইয়ে থাকত ভারতীয় দল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। কাতার ম্যাচের ‘মোমেন্টাম’ ধরে রাখতে পারলে মঙ্গলবার ভারতের সহজেই জেতা উচিত।