পাটনা মেডিক্যাল কলেজে এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে দেখতে এসেছিলেন। রোগী দেখে বেরিয়ে সবে গাড়িতে উঠতে যাবেন, হঠাৎই পিছন থেকে ছিটকে এল কিছু জলের ফোঁটা। ভালো করে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে মন্ত্রী বুঝলেন জল নয়, কালির ছিটেতে ভরে গেছে তাঁর জামা-কাপড়। কালি ছিটে এসে লেগেছে মাথায়, মুখেও। আজ পাটনা মেডিক্যাল কলেজে এসে এমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবককে সনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম নিশান্ত ঝা। এক ডেঙ্গি রোগীর আত্মীয়। মন্ত্রীর গায়ে কালি ছিটিয়েই বেপাত্তা হয়ে গেছেন নিশান্ত। পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে সনাক্ত করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই কালি আমার গায়ে নয়, গণতন্ত্রের মুখে ছেটানো হয়েছে।”
প্রবল বন্যার কবল থেকে রেহাই মিললেও, পরবর্তী পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে বিহারে। একই সঙ্গে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি ও এনসেফেলাইটিস। গত সপ্তাহেই পাটনার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গি আক্রান্ত এক সাত বছরের শিশুর মৃত্যু হয়। এরপরেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, নিশান্তের এক আত্মীয় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক। মন্ত্রীর গায়ে কালি ছেটানোর সময় যুবক চিৎকার করে বলছিলেন, “সরকার নিষ্ক্রিয়। ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু বাড়ছে। সব দেখেও চুপ প্রশাসন।” স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, সেপ্টেম্বরেই পাটনার বিভিন্ন জায়গায় ৯০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। অক্টোবরের বন্যায় মৃত্যু হয় অন্তত ৭৩ জনের। এই বন্যার ফলে ডেঙ্গির প্রকোপ ফের বেড়েছে।