২০১৬ সালের শেষের দিকে আচমকাই এক সন্ধেবেলা ঘোষণা করা হল, কালো টাকার লেনদেন আটকাতে নোটবন্দি করা হবে। রাতারাতিই খারিজের তালিকায় নাম ওঠে তত্কালীন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটের। বাজারে আবির্ভাব ঘটে নতুন ২০০০ টাকার নোটের। কিন্তু এখন সেই নোটেরও দেখা মেলে না৷ এটিএম থেকেও কথায় কথায় ২ হাজার টাকার নোট আর বেরোয় না। কিন্তু কেন?
সম্প্রতি একটি আরটিআই-এর উত্তরে জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে ৩,৫৪২.৯৯১ মিলিয়ন ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো হয়েছে। সেখানে ২০১৭-১৮ সালে তা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ১১১.৫০৭ মিলিয়ন নোটে। ২০১৮-১৯ সালে তা আরও কমিয়ে করা হয় মাত্র ৪৬.৬৯০ মিলিয়ন।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে তাদের নোট মুদ্রণ কেন্দ্র ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি আর্থিক বর্ষে একটিও নতুন ২ হাজার টাকার নোট ছাপা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মত, কালো বাজারি বন্ধ করতে যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল, তা খুব একটা সফল হয়নি। বরং ২ হাজারের নোট বেরোনোর পর আরও সহজে কালো টাকার লেনদেন সম্ভব হয়েছে।
অর্থনীতিবীদ নীতিন দেশাই জানিয়েছেন, “হাই ভ্যালু নোট বাজার থেকে সরিয়ে ফেলায় বেশি সংখ্যক কালো টাকার লেনদেন সমস্যার হয়ে উঠেছে। তবে নোটবন্দির থেকে এই পদক্ষেপ সব দিক থেকেই ভালো। এতে কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। শুধুমাত্র সার্কুলেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এমন পদক্ষেপ এর আগে বহু ইউরোপীয় দেশ করেছে। কিন্তু ভারতে একটা বড় মাপের অসংগঠিত সেক্টর এবং কৃষি সেক্টর রয়েছে। যেখানে নগদে লেনদেন হয়”।