গো-রক্ষায় অমনোযোগী, এমনই অভিযোগে উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জের জেলাশাসক-সহ ৫ সরকারি আধিকারিককে বরখাস্ত করল যোগী সরকার। মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর একটি সর্বভারতীয় নিউজ পোর্টালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব আর কে তিওয়ারি এক সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আর কে তিওয়ারি বলেন, ‘রাস্তায় ইতস্ততভাবে ঘুরে বেড়ানো গরুর জন্য মহারাজগঞ্জ জেলার মধ্যভলিয়া গো-আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়। কিন্তু সরকারের কাছে বারবার অভিযোগ এসেছে সেখানে গরুদের দিকে নজর দেওয়া হত না। তাই গরুদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মহারাজগঞ্জের জেলাশাসক অমরনাথ উপাধ্যায়-সহ সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রাক্তন এসডিএম, মুখ্য পশু চিকিৎসক ও আরও এক পশু চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে’।
পাশাপাশি, দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিবের অভিযোগ, ওই গোশালায় খাতায়-কলমে গরুর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হত। সরকারের তরফে খবর, গোশালায় মোট ৮৫৪ টি গরু আছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে তা বাড়িয়ে ২,৫০০ করা হয়েছিল। এইভাবে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার করা হত বলেও অভিযোগ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ওই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হিসেব গরমিলের সদুত্তর মেলেনি। গো-খাদ্যের খরচেরও হিসাব পাওয়া যায়নি। তাঁর কথায়, স্থানীয় আধিকারিকদের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
মহারাজগঞ্জের বরখাস্ত হওয়া জেলাশাসক গোশালার ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বরখাস্ত হওয়া অন্যান্য আধিকারিক ছিলেন এই কমিটির সদস্য। সরকারি তদন্তে উঠে এসেছে গোশালা রক্ষার জন্য সরকারের ৩২৮ একর জায়গাকে বেআইনিভাবে লিজ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই বিজেপি সরকারের তরফে পূর্ণ তদন্ত শুরু করা হয় এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়।