গত বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছিলেন শেষ টেস্ট। তারপর চোট তাঁকে দল থেকে ছিটকে দেয়। তার পরে অস্ত্রোপচার, রিহ্যাব, প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে ক্রিকেটমাঠে আবার ফিরে এসেছেন ঋদ্ধিমান। আর মাঠে ফিরেই তিনি হয়ে গিয়েছেন ‘সুপারম্যান সাহা’। ফিরে আসা তো একেই বলে।
প্রথম টেস্টে দলে জায়গা হয়নি ঋদ্ধিমানের। উইকেটের পেছনে দেখা গিয়েছিল তরুণ ঋষভ পন্থকে। তবে সুযোগ পেয়েছিলেন দ্বিতীয় টেস্টেই। আর ফের নিজেকে প্রমাণ করলেন বাংলার ঋদ্ধি। তাঁর উইকেটকিপিং দক্ষতা নিয়ে কোনোদিনই সংশয় ছিল না বিরাটের। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বল গড়ানোর আগে ঋদ্ধিমান সাহাকে বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার বলেছিলেন ভারত অধিনায়ক।
রবিবার সকালে থেউনিস দে ব্রুইনের ক্যাচটা শরীর ছুড়ে দিয়ে ধরার পরে কোহলি জড়িয়ে ধরেন ঋদ্ধিকে। প্রোটিয়াদের মাটি ধরানোর পরে ভারতের উইকেটকিপারের প্রশংসা করে কোহলি বললেন, ‘‘আলাদা করে সাহার কথা বলতে হবে। এতদিন পর ফিরে আসায় ওকে একটু নার্ভাস দেখিয়েছিল। কিন্তু, টেস্ট শুরু হওয়ার পরে ঋদ্ধি দুর্দান্ত কিপিং করেছে।’’
শুধু কোহালি নন, পুণেতে তাঁর উইকেট কিপিং দেখে ক্রিকেটপ্রেমী থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ঋদ্ধি-বন্দনায় মেতে উঠেছেন। সতীর্থ উমেশ যাদব দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন তিন-তিনটি উইকেট। সেই উইকেটগুলোর জন্য পুরো কৃতিত্বই উমেশ দিচ্ছেন বাংলার এই উইকেটকিপারকে। উমেশ বলেন, ‘‘আমি মনে করি যে উইকেটগুলো পেয়েছি, সেগুলো সাহারই কৃতিত্ব বেশি।’’
ভুল কিছু বলেননি উমেশ যাদব। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ঋদ্ধি নিয়েছেন তিন-তিনটি ক্যাচ। তার মধ্যে দু’টি ক্যাচ উমেশেরই বলে। ভাগ্য সহায় ছিল ভারতের পেসারের। কারণ উইকেটের পিছনে ছিলেন ঋদ্ধিমান। তাঁর প্রশংসা করে উমেশ বলেন, ‘‘ঋদ্ধিমানকে আমার ট্রিট দেওয়া উচিত। ওভাবে যে শরীর ছুড়ে দিয়ে ক্যাচ দুটো নেবে, তা ভাবতেও পারিনি। লেগ সাইডে যখন বলগুলো গেল, তখন আমি ধরেই নিয়েছিলাম বাউন্ডারি হচ্ছে। কিন্তু, উইকেটগুলোর জন্য ঈশ্বর ও সাহাকে ধন্যবাদ জানাই।’’