দেশের রাজকোষে ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘শুধু রাজকোষ ঘাটতি দিয়েই বোঝা যাবে না, দেশের আর্থিক অবস্থা কতদূর খারাপ’। অর্থাৎ রাজকোষ ঘাটতি দেখে অর্থনীতির অবস্থা যত খারাপ মনে হয়, বাস্তবে অবস্থা তার চেয়ে বেশি শোচনীয়। রাজনের মতে, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির হাল আর কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারে।
আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে ও পি জিন্দাল ভাষণ দেওয়ার সময় রাজন বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির নানা স্তরে এখন অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে তার হাল হয়ে উঠছে আরও খারাপ। অর্থনীতির তেজি ভাব যখন বজায় ছিল, তখনকার তুলনায় বর্তমানে বিকাশের হার যথেষ্ট কমেছে। ২০১৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকেও বিকাশের হার ছিল নয় শতাংশ। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ শতাংশ। তার পরের ত্রৈমাসিকে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। গত অগস্টে শিল্পোৎপাদনও কমেছে গত সাত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এখন তার বিকাশের হার দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১.১ শতাংশ।
রাজনের মতে, ভারতের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দুর্বলতা আছে। কিন্তু সেই দুর্বলতা কাটানোর চেষ্টা হয়নি। একইসঙ্গে বিকাশের নতুন পন্থা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও আগে বলেছিল, চলতি আর্থিক বছরে দেশের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৬.৮ শতাংশ হারে। এখন বলছে ৬.১ শতাংশের বেশি বিকাশ হওয়া সম্ভব নয়।