“এই পুকুরে দুর্গাঠাকুর বিসর্জন দেওয়া যাবে না, এখানে শুধু ছট পুজো হবে”, দুর্গা পুজোর শেষ লগ্নে এভাবেই বিতর্কে জড়ালেন খড়গপুরের এক অবাঙালি কাউন্সিলর। ছটপুজোর জন্য পরিষ্কার রাখতে হবে পুকুর। আর সেই কারণে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এভাবে বাংলার ভাবাবেগে আঘাত করছেন এক অবাঙালি, এই কারণে তীব্র বিতর্কের সম্মুখীন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঞ্জিলালের পুকুর বলে পরিচিত ওই জলাশয়টি সম্প্রতি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সংস্কার করেছে পুরসভা। অথচ ওই পুকুরটি তিনি নিজের টাকায় সংস্কার করেছেন। তাই সেখানে তিনি ভাসান করতে দেবেন না।যদিও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন ওই পুকুরে ভাসান দেওয়া যাবে না, এই প্রশ্নের জবাবে অবাঙালি ওই কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ‘এখানে শুধু মাত্র ছটপুজো হবে। এখানে কোন দুর্গাঠাকুর বিসর্জন হবেনা।’
বিষয়টি নিয়ে ‘বাংলা পক্ষ’ নামে একটি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতেই সমালোচনা শুরু হয় নানা স্তরে। সকলেই কাউন্সিলরের এই মানসিকতার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। উল্লেখ্য, ওই পুকুরে কিছুদিন আগেই যদিও গণেশ বিসর্জন হয়েছে। অনেকেই বাংলার একজন কাউন্সিলরের এই ধরণের বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধিতার তীব্র নিন্দা করেছেন।
অভিযোগ কাউন্সিলর সরিতা ঝা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে সামনে ছট পুজো রয়েছে। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হলে পুকুর নোংরা হবে। পুকুরের জল দূষিত হলে ছট পুজোর সময়ে ভক্তদের সমস্যা দেখা দেবে। এমনই জানিয়েছেন ওই পুজো কমিটির সম্পাদক সুব্রত দে।খুব স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি নিমপুরা দেওয়ানমারি দুর্গাপুজো কমিটি। বাংলার মাটিতে ছটপুজোর জন্য দুর্গা পুজো পরিচালনায় বাধা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।