বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছিলেন যে, গোটা দেশের ১০ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ করে ৪ টি প্রধান ব্যাঙ্ক করা হবে। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে গোটা দেশে হইহই পড়ে গিয়েছিলো। বিরোধিতাও শুরু করেছিল দেশের প্রধসন বিরোধী দলগুলি। কিন্তু এরমধ্যেই ব্যাঙ্ক নিয়ে নতুন তথ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে এলো।
জানা গেছে, গত ৩ বছরে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক লোন দিয়ে ফেরত পায়নি ২ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। নোট-বন্দির পরই ব্যাঙ্কের খাতায় বেড়েছে তামাদি ঋণের সংখ্যা। তথ্যের অধিকার আইনে সামনে এসেছে ব্যাঙ্কের এই পরিসংখ্যান। ৮৮ জন ঋণগ্রহীতার কাছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পাওনা সব মিলিয়ে, ১ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা।
৪১৬ জন ঋণগ্রহীতার কাছে ব্যাঙ্কের পাওনা ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সকলেরই ধার ১০০ কোটি টাকা বার তার বেশি। অনাদায়ী ঋণের ক্ষেত্রে একেক জনের গড় ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪২৪ কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়াকড়ির পরই দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী ঋণকে তামাদি বলে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। তবে এইমুহূর্তে ব্যাঙ্কগুলির কি করণীয়, তা পরিষ্কার করে জানায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।