বয়স বেড়েছে অনেকটাই। বয়সের ভারে তাই দিন দিন কমছে কর্মক্ষমতা। বেলগাছিয়া ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। তাই নিরাপত্তার খাতিরে তড়িঘড়ি ব্রিজের উপরের পিচের আস্তরণ সরিয়ে ফেলার বিজ্ঞপ্তি জারি করল পূর্তদফতর। ব্রিজের স্বাস্থ্যের নিরিখে ঝাঁকুনির ফলে বিপদ হতে পারে। তাই ব্রিজ যাতে না কাঁপে সেই পদ্ধতি পিচের আস্তরণ তুলে ফেলা হবে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পূর্তদফতর।
পুজোর আগে থেকেই টালা ব্রিজে বন্ধ ভারী যান চলাচল। বিকল্প পথে চলছে গাড়ি। পুজোর সময় ইঞ্জিনিয়াররা ব্রিজ পরিদর্শন করেন। মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টালা ব্রিজের মাঝখানের অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। একে ভেঙে ফেলাই ভালো। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠক হবে।
ইঞ্জিনিয়াররা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বেলগাছিয়া ব্রিজের অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গীণ। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আপাতত ওই ব্রিজের উপর ট্রামলাইনের জন্য ব্যবহৃত পিচের আস্তরণ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, টালা ব্রিজে বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ গাড়ি যাচ্ছে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে। তার ফলে চাপ পড়ছে আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এই ব্রিজে।