বিসর্জনের বিষাদ, অন্ধকারের মধ্যেই বোধনের আনন্দে মেতে উঠল ময়নাগুড়ি। তবে দেবী দুর্গা নয় এ বার মা ভান্ডানী রূপে। তিস্তাপারে একাদশীতে ভান্ডানীর আরাধনা ঠিক কবে শুরু হয়েছে তা হলফ করে বলতে পারেন না কেউই। তবে এ পুজোকে ঘিরে ইতিহাসের থেকে গল্পকথাই বেশি জোরদার।
ময়নাগুড়িতে রয়েছে ভান্ডানী দেবীর মন্দির। তিনি চতুর্ভুজা। ছেলেমেয়েরা দেবীর সঙ্গে থাকলেও, অসুর নেই। দশমীর পরের দিন শুধু ময়নাগুড়ি নয়, ডুয়ার্সের অন্য প্রান্তেও হয় দেবী ভান্ডানীর আরাধনা। মেলা বসে। মানুষ মেতে ওঠেন উৎসবে। বিসর্জনের বিষাদ ভুলে আরও একটা দিন বাঁধ ভাঙা আনন্দ। পুজো শেষে এ দিনই বিসর্জন দেবীর। প্রথা মেনে আজ ভান্ডানীর পুজো শুরু হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। রাত যত বাড়বে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে পুজোর জাঁক। তারপরেই বিসর্জন। দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে।
কথিত আছে দশমীতে বিসর্জনের পরে রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে ফেরার সময় পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন উমা। বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে তখন সন্ধে নামছে। মাঠ থেকে ফেরার পথে এক কৃষক দেখে ফেলেছিলেন তাঁকে। পথ হারানো উমাকে পরম যত্নে ঘরে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আশ্রয় দিয়েছিলেন রাতের মতো। গভীর রাতে দেবী আবির্ভূতা হয়েছিলেন। বর চাইতে বলেছিলেন গৃহকর্তাকে। তিস্তাপার যাতে শস্যশ্যামল হয়ে ওঠে সেই বর চেয়েছিলেন কৃষক। দেবীর বরে তারপর থেকেই নাকি সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে তিস্তাপার।