এখনও ২ মাস হয়নি, আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। আর এবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগে এবার আয়কর হানা দিলো আরও এক কংগ্রেস নেতার বাড়িতে। এদিন কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও তাঁর মালিকানাধীন মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার থাকাকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জি পরমেশ্বর। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় আয়কর বিভাগ।
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতনের পরই একের পর এক সরকারি এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাদের বেছে বেঝে তাঁদের বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে ফোন ট্র্যাপিংয়ের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের অন্যতম প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারকে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইডি। আপাতত তিনি জেলেই আছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগের তদন্ত চলছে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন কর্ণাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর। যদিও আয়কর দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ওই কলেজের আর্থিক লেনদেনে কারচুপি হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করানো। জোর করে এজেন্সি কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া বলছেন, “রাজনৈতিকভাবে বা দুর্নীতি ইস্যুতে হারাতে না পেরে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কংগ্রেস নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।” একই কথা কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্য নেতাদেরও। যদিও, পরমেশ্বর নিজে এ নিয়ে আক্রমণের পথে যাননি। শান্তভাবে তিনি বলেছেন, “যদি আয়কর দপ্তরের মনে হয়ে থাকে কলেজের লেনদেনে কোনও ভুল আছে, তাহলে ওঁরা নথি দেখতে পারেন।”