দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেই দেশবাসীর কাছে আসল ছবি স্পষ্ট। একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানো-সহ একাধিক সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের অর্থভাণ্ডারের অবস্থা টের পেয়েছেন সকলে। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তার ওপর এবার জিসটি সংগ্রহেও ঘাটিতি দেখা দিল।
২০১৭ সালে বর্ধিত জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সরকারি কোষাগারের চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে ছিল জিএসটি সংগ্রহের ফলে। গত ১৯ মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে কম জিএসটি সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র সরকার। আর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সরকারের নতুন রিপোর্টে। গত মাসে জিএসটি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৯১,৯১৬ কোটি।
তার মধ্যে সিজিএসটি ১৬,৬৩০ কোটি, এসজিএসটি ২২,৫৯৮ কোটি এবং আইজিএসটি ৪৫,০৬৯ কোটি টাকা। যা গত ১৯ মাসে সবচেয়ে কম। গত বছর ঠিক এই সময়ে জিএসটি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯৪,৪৪২ কোটি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ২.৮ শতাংশ কমে গিয়ে গত বছরের তুলনায়। শুধু তাই নয়, রপ্তানি ওপর ধার্য করা জিএসটি থেকে যা আয় হয়, তার পরিমানও অনেকটাই কমেছে।
ভেঙে পড়েছে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা। দেশের আটটি মূল শিল্পও দিনে দিনে ধসে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে নানারকম প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছে মোদী সরকার। প্রায় প্রত্যেকদিনই শেয়ার বাজারে ধস নামার খবর শোনা যাচ্ছে। শেয়ার বাজার চাঙ্গা করতেই কিছুদিন আগে জিএসটিতে ছাড় দিয়েছিল মোদী সরকার। সরকারের দাবি জিএসটিতে ছাড় দেওয়ার ফলেই গত মাসে সংগ্রহ কমেছে।