পুজোর মুখে ফের হেঁশেলে আগুন। মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে আবারও দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের। ভর্তুকিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একধাক্কায় বাড়ল ১৫ টাকা। মঙ্গলবার মহাতৃতীয়া। আর এদিন থেকেই লাগু হল নতুন এলপিজি গ্যাসের দাম।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই অর্থাৎ পয়লা সেপ্টেম্বর রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে ছিল। ভরতুকিবিহীন প্রতি ১৪.২ কিলোগ্রামের সিলিন্ডার পিছু এলপিজির দাম দেশের বড় শহরগুলির জন্য ধার্য করা হয়েছিল ১৫.৫-১৬ টাকা। এর আগে সব মিলিয়ে সিলিন্ডার পিছু ১৬৩ টাকা দাম কমেছিল। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দু’দফায় দাম বাড়ল ভরতুকিহীন গ্যাসের। প্রথমত, সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে এবং দ্বিতীয়ত পয়লা অক্টোবরে। চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে দিল্লি ও মুম্বইয়ে ভরতুকিবিহীন এলপিজি সিলিন্ডার (১৪.২ কেজি) পিছু দাম কমানো হয়েছিল মোট ১৬৩ টাকা। কলকাতা ও চেন্নাইয়ে ভরতুকিবিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের (১৪.২ কেজি) দাম কমেছে ১৬২.৫ টাকা। কিন্তু এবার গত মাসেই দাম বাড়ার পর একধাক্কায় রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হল। আর এতে যে মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত পড়েছে তা বলাই বাহুল্য।
আইওসি-র তরফে এর আগে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে বিদেশি মুদ্রার দামে ওঠাপড়া, মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাদের এলপিজি-র দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পেট্রোপণ্য নিয়ে কেন্দ্রের নতুন নীতির পর এলপিজি-র দাম সাধারণত প্রতি মাসে ওঠানামা করে। কখনও কমলেও, পরের মাসেই বেড়ে যায় ভর্তুকিহীন এবং ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি-র দাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই নতুন দাম ঠিক হয়। তবে পরিবর্তনের অঙ্ক খানিকটা নির্ভর করে ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো বড় সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর উপর। সেক্ষেত্রে যাঁরা ভরতুকির আওতার বাইরে, সেই গ্রাহকদের উপর দামের কোপটা বেশি পড়ে। পুজোর আগে নতুন করে দামবৃদ্ধিতে আমজনতার মুখ কিছুটা ব্যাজার তো বটেই।