যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এই প্রবাদের মাহাত্ম্য বারবার প্ৰমাণ করেছেন বিশ্বের কিংবদন্তিরা। মাতৃত্বের ভারে অনেক খেলোয়াড়ই নুইয়ে পড়েননি। সাময়িক বিরতির পরে আবার ফিরে এসেছেন। সাফল্যও পেয়েছেন এইবার সেই তালিকায় শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস। সর্বকালের অন্যতম সেরা মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে। এক সন্তানের মা হয়েও ফুরিয়ে যাননি। বরং প্রায় দু’বছর পর ফিরে এলেন রানির মতোই।
দোহায় বিশ্ব মিটে ১০০ মিটারে আবার সোনা জিতলেন জামাইকান অ্যাথলিট। ৩২ বছর বয়স। কিন্তু পারফরম্যান্স যেন আরও ধারালো হয়ে উঠেছে তাঁর। বিশ্ব মিটে সোনা জিততে সময় নিলেন বিশ্বের দ্রুততম রানার সময় নিলেন ১০.৭১ সেকেন্ড। এ নিয়ে টানা চতুর্থ বার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। দ্বিতীয় ডাইনা অ্যাসার স্মিথ (১০.৮৩)।
২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক থেকে। ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকেও ছিলেন দ্রুততম মহিলা। কিন্তু রিওতে নিরাশ করেছিলেন তিনি। দোহার বিশ্ব মিটে ফের পোডিয়াম উঠে শেলি প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে ‘মেয়েদের বোল্ট’ বলা হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, বোল্ট ট্র্যাক থেকে সরে গিয়েছেন অনেক আগেই। শেলি কিন্তু এখনও অপ্রতিরোধ্য।
ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ, মারিয়ান জোন্সদের তালিকায় নাম লেখালেন শেলি। প্রায় এক যুগ ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে এমন সাফল্য খুব কম অ্যাথলিটেরই রয়েছে।