‘হাউডি মোদী’র মঞ্চে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিরোধীরা বলেছিলেন, “ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করতে আমেরিকায় গিয়েছেন মোদী!” সেই বিতর্কে জল ঢালতে সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, “মোদীর বক্তব্য নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।” এ বার তার পাল্টা খোঁচা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইট করে সনিয়া-পুত্র এদিন লিখেছেন, “ধন্যবাদ জয়শঙ্কর। আপনি প্রধানমন্ত্রীর অপদার্থতাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর (পড়ুন প্রধানমন্ত্রীর) মন্তব্যে ভারতীর কূটনীতিকরা বড্ড সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। আপনি যখন এর মধ্যে ঢুকেই পড়েছেন, তখন মোদীকে একটু কূটনীতি শিখিয়ে দিন।”
আগামী বছরের শুরুতেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার প্রক্রিয়াও সর্বস্তরে শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় আমেরিকানদের সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পাশে দাঁড় করিয়ে বলেছিলেন, ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার।’ কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ব্যাপারে নাক গলানো ভারতের বিদেশনীতির পরিপন্থী। এই বিষয়ে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে বিদেশনীতিটাই জলাঞ্জলি দিয়ে এসেছেন নিউ ইয়র্কে।
যদিও জয়শঙ্কর মোদীকে বাঁচাতে দোষ চাপিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের ঘাড়ে। তাঁর বক্তব্য, “আপনারা ভাল করে ওঁর (পড়ুন প্রধানমন্ত্রীর) বক্তৃতাটা শুনুন। উনি বলেছিলেন, ট্রাম্পও ওই স্লোগান (অব কি বার…) ব্যবহার করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি অতীতের কথা বলতে চেয়েছেন।” বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “আপনারা ভুল ব্যাখ্যা করছেন। এটা কারও ভাল করতে পারে না।”
চারদিনের ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, ভারতীয় কূটনীতিকরা যে মোদীর ওই মন্তব্যে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন, তার প্রমাণ বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য। নাহলে কেন তিনি থিতিয়ে যাওয়া বিতর্ক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আবার নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন! এই সুবর্ণ সুযোগ ছাড়েনি বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। টুইট করে চড়া সুরে মোদীকে বিঁধলেন রাহুল।