ভারতীয় ক্রিকেটে সফল অলরাউন্ডারের তালিকা প্রস্তুত করলে প্রথম সারিতেই আসে তাঁর নাম। টি২০ বিশ্বকাপ, ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। তাঁর লড়াইয়ের গল্প বিশ্ববাসীর কাছে অজানা নয়। সেই যুবরাজ সিং-ই এইবার বর্তমান ভারতীয় টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করতে বসে কিছু উপদেশ দিয়ে গেলেন। তাঁর কথায়, বিরাট কোহালির উপর চাপ কমানোর দরকার পড়লে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ভাবা যেতে পারে।
তিনি বলেছেন, ‘‘আগে দু’ধরনের ক্রিকেটই শুধু খেলা হত। টেস্ট এবং ওয়ান ডে। এখন তার সঙ্গে প্রচুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলতে হচ্ছে। যদি বিরাটের উপর অতিরিক্ত বোঝা তৈরি হয়ে যাচ্ছে মনে হয়, তা হলে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের জন্য অন্য কারও নাম ভাবা যেতে পারে।’’
সেই অন্য জন কে, তা-ও পরিষ্কার করে দিয়েছেন যুবরাজ। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুবরাজ বলছেন, ‘‘রোহিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে খুবই সফল। তবে টিম ম্যানেজমেন্টই ঠিক করে বলতে পারবে বিরাটের উপরে অতিরিক্ত বোঝা আদৌ তৈরি হচ্ছে কি না।’’
ভারতের বর্তমান দল পরিচালন সমিতির দিকে যুবির তোপ দাগা অবশ্য অব্যাহত। তাঁর দাবি, যথেষ্ট সমর্থন না পেয়েই জাতীয় দল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। ইয়ো ইয়ো টেস্টের অছিলায় তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট পাশে দাঁড়ালে আরও একটা বিশ্বকাপ খেলতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ‘‘আর একটা বিশ্বকাপ খেলতে না-পারার আক্ষেপ আছে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষে কোনও সমর্থন পাইনি। তবে যতটুকু ক্রিকেট খেলেছি, তাতেই খুশি। নিজের যোগ্যতায় খেলেছি। আমার কোনও গডফাদার ছিল না।’’ বাদ পড়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘টিম ম্যানেজমেন্ট পরিষ্কার করে আমাকে কিছু জানায়নি, কী পরিকল্পনা ওদের। আমার মতো সহবাগ বা জাহিরের সঙ্গেও ওরা খোলাখুলি কথা বলেনি।’’
বিশ্বকাপের ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য দল পরিচালন সমিতিকে এক হাত নিচ্ছেন ক্যানসারকে হারিয়ে মাঠে ফিরে আসা জনপ্রিয় তারকা। বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে চার নম্বর ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪৮। অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচকদের জানা উচিত ছিল, কে তাদের যোগ্যতম চার নম্বর। ওই জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে, যেখানে বল নড়াচড়া করে। ওই জায়গায় যে ব্যাট করবে, তাকে টেকনিক্যালি শক্তিশালী হতে হবে।’’ আরও বলেন, ‘‘বিজয় শঙ্করের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। ঋষভ পন্থের অভিজ্ঞতা ছিল না। দীনেশ কার্তিকের ছিল কিন্তু ওকে বসিয়েই রাখা হয়েছিল। হঠাৎ ওকে সেমিফাইনালে নামিয়ে দেওয়া হল নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে।’’