শতবর্ষে কলকাতা লিগ জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ কাস্টমস। যেই দলের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য হওয়ায় রবিবার ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কোচের কাজ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। বিশ্বজিৎ এক কথার ছেলে। দু’বছর আগে ইস্ট বেঙ্গলের দুই শীর্ষ কর্তার পরোক্ষ লড়াইয়ে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে ডার্বি জেতার পরও বিদায় নিতে হয়েছিল। সাধারণত ডার্বি জেতা কোচকে এই ভাবে বিদায় নিতে হয় না। বিশ্বজিতের জেদ আজ ইস্ট বেঙ্গলের জয়ের পথে বড় কাঁটা। তাই শতবর্ষে লিগ জিততে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন কোয়েসের সঙ্গে সাবেক কর্তারাও। সমর্থকদের চোখে যা অতি ইতিবাচক দিক।
এদিকে, শতবর্ষে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারক ম্যাচের আগে কোয়েসের তরফে মিডিয়ার কাছে পাঠানো প্রেস বিবৃতিতে লেখা রয়েছে ‘জয় ইস্ট বেঙ্গল।’ প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আলেহান্দ্রোর পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাই শনিবার ভিডিও বার্তায় আলেহান্দ্রো বলেছেন,‘সমর্থকদের জন্যই দল এই জায়গায় পৌঁছেছে। আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে রবিবার খেলতে নামব। আশা করি, দলকে চ্যাম্পিয়ন করে আমি মিলিত হব আপনাদের সঙ্গে। পুজোর আগে এই উপহারটাই দিতে চাই সমর্থকদের।
কোলাডো-নাওরেম-বোরহা না থাকাটা কোনও ফ্যাক্টরই নয়, এমনটাই মত লাল হলুদ কোচের। কার্লোস চেষ্টা করছেন বোরহাকে ফিট করার। কিন্তু তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। আজ প্রথম একাদশে ক্রেসপি, হুয়ান, মার্কোস থাকবেন। ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো উইং হাফ পিন্টু মাহাতোর উপর অনেকখানি নির্ভর করছেন ম্যাচ বের করতে। তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য রোমিং মিডিওর ভূমিকাতেও দেখা যেতে পারে। ভিডিও সেশনে এই কথাই বলেছেন আলেহান্দ্রো। সেই সঙ্গে সেট পিস এবং দূরপাল্লার শটের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। লালরিনডিকাই নামছেন মাঝমাঠে। তবে আজকের এই অলিখিত ফাইনালে যেন তেন প্রকারণে জিততে চান আলেহান্দ্রো, এটা পরিষ্কার।