সপ্তাহান্তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল ও শেফিল্ড ইউনাইটেড। টানা সাত ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পেয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল লিভারপুল। যদিও বাইরের মাঠে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এদিন ১-০ ব্যবধানে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে মহম্মদ সালাহর। খেলার ৭০ মিনিটে ভলি মেরে একমাত্র গোলটি করেন জর্জিনো ওয়াইনালডাম। অবশ্য এই গোলটাও লিভারপুল পেত না, যদি না শেফিল্ডের গোলরক্ষক বল ধরার সময় দ্বিধাগ্রস্থ না হয়ে পড়তেন।
এই জয়ে লিভারপুলই ইপিএলে শীর্ষস্থানেই থাকল। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। দু’নম্বরে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। শনিবারের ম্যাচেই পেপ গুয়ার্দিওলার দল ৩-১ হারায় এভার্টনকে। ম্যান সিটির গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিয়াদ মাহরেজ ও রাহিম স্টার্লিং গোল করলেন। তাঁরা টেবলে দু’নম্বরে। পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১৬।
এ দিকে, লিভারপুলের প্রাক্তন স্ট্রাইকার পিটার কাউচ মন্তব্য করেছেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচে দল অসাধারণ খেলবে এমন কোনও কথা নেই। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিও সেটা পারেনি গত বার। কিন্তু লিভারপুল তাদের খেলায় যে সাহস আর শক্তি দেখাচ্ছে, তাতে মনে হয় না এ বার ইপিএল জিততে কোনও অসুবিধে হবে বলে।’’ শুধু কাউচ নন। প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন জো কোল। তাঁর কথা, ‘‘লিভারপুলকে কারা চ্যালেঞ্জ জানাবে? ম্যাঞ্চেস্টার সিটির নাম মাথায় আসে। কিন্তু পেপ গুয়ার্দিওলার দলেও অনেক দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে রক্ষণে। কিন্তু লিভারপুলের কোনও দুর্বলতা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।’’
শনিবার ইপিএলের অন্যান্য ম্যাচে জিতেছে চেলসি আর টটেনহ্যামও। চেলসি ২-০ হারিয়েছে ব্রাইটনকে। গোল করেছেন জর্জিনো ও উইলিয়ান। অন্যদিকে টটেনহ্যামের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে সাউদাম্পটন। স্পার্সের দুই গোলদাতা ট্যাঙ্গুই নদমবেলে ও হ্যারি কেন।
শেফিল্ডকে হারিয়ে উঠে সাংবাদিক সম্মেলনে আসা ক্লপকে বলা হয় কাউচ ও কোলের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা। তাতে জার্মান কোচের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের সম্পর্কে এত ভাল ভাল কথা বলার জন্য ওঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এটাও বলব যে এত তাড়াতাড়ি এ সব বলার কোনও মানে হয় না। আমি আগেও বলেছি যে আমাদের লড়তে হচ্ছে ম্যান সিটির মতো দলের সঙ্গে। যারা এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরা ক্লাব।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি যে সিটির ওপর আলাদা চাপ প্রয়োগ করলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।