লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য তথা দেশে গেরুয়া তান্ডব বেড়েছে। আর এই আষ্ফলনের মোহে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছিল অনেকেই। তবে সেই মোহ বেশিদিনের নয়। আবার যে যাঁর নিজেদের পুরোনো দলে ফিরে আসছেন। এবার নানুর ঘটনার এক অন্যমাত্রা পেল। যেখানে বিজেপি নানুরে স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যুর জন্য শাসক দলকে দায়ী করছে, সেখানেই এবার মৃতের স্ত্রী দাঁড়ালেন তৃণমূলের পাশেই।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর নানুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্বরূপ গড়াইয়ের। শনিবার চায়নাদেবী সাফ জানান, তাঁর পরিবার তৃণমূল করতেন। এদিন বোলপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে আসেন স্বরূপ গড়াইয়ের স্ত্রী৷ বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আমাদের প্রভাবিত করেছিল। তাই যাদের বিরুদ্ধে স্বরূপকে খুন করার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, অভিযোগপত্রে তাঁদের নাম বাদ গেলে কোনও আপত্তি নেই৷’’
এই ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মারা যাওয়াটা খুব দুঃখের। স্বরূপের পরিবার তৃণমূল করত। তৃণমূলকে ফাঁসাবার জন্য বিজেপি এই কাজ করেছে। সাংসদ অসিত মাল গিয়ে স্বরূপের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং ওনার স্ত্রীকে বোলপুর পার্টি অফিসে নিয়ে আসেন।”
শনিবার বিকালে বোলপুরের তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে আসেন নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে খুন হয়ে যাওয়া স্বরূপ গড়াই–এর স্ত্রী চায়না গড়াই। সঙ্গে ছিলেন বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। পার্টি অফিসে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল–সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এরপরেই অসিত মাল নানুরের ওসিকে লেখা চায়না গড়াই–এর অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান। “স্বরূপ গড়াই গত ৬ই সেপ্টেম্বর কিছু আততায়ীর গুলিতে জখম হন। এরপর কলকাতার হাসপাতালে ৮ই সেপ্টেম্বর মারা যান স্বরূপ। আমি এবং আমার স্বামী বরাবর তৃণমূল করি। ৭ই সেপ্টেম্বর আমার অজান্তে বিজেপি পার্টির ষড়যন্ত্রে জনৈক অনুপ গড়াই নানুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগপত্রে আসামী হিসাবে যাদের নাম দিয়েছে, তারা আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। অভিযোগপত্র থেকে এদের নাম বাদ গেলে আমার কোনও আপত্তি নেই”।