জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দিতে হবে বন্দে মাতরমকে! মাস কয়েক আগেই এমনই দাবিতে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। যদিও বিজেপি নেতার সেই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় দিল্লী হাইকোর্ট। তবে এভাবে বারবারই দেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে গেরুয়া শিবির। সেই ধারাই বজায় রইল শুক্রবার বিজেপির এক কর্মসূচীতে। বিজেপির মতে যে বন্দে মাতরমই জাতীয় সঙ্গীত, জন গণ মন নয়, গতকাল আবারও তার প্রমাণ দিল তারা।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে মানুষকে বোঝানোর জন্য গতকাল শহরে আসেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। সল্টলেকের ইজেডসিসিতে ছিল অনুষ্ঠান। সেখানেই মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে দুই মহিলা শিল্পী মাইকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা ঘোষণা করলে সকলে উঠে দাঁড়ান। এরপরই তাঁরা গাইতে শুরু করেন, ‘বন্দে মাতরম সুজলাং সুফলাং…।’ যা শুনে উপস্থিত অনেকেই হা হয়ে যান। বলাবলি করতে শুরু করেন, বন্দে মাতরম আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হল কবে থেকে! জাতীয় সঙ্গীত তো জনগণমন। যদিও ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। এই ঘটনাই স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।