সাবধানী ফুটবল খেলেই রেনবোর বিরুদ্ধে জয় তুলে নিলেন পিয়ারলেস ফুটবলাররা। আর এরফলেই আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন কলকাতা লিগ জয়ের দিকে। এদিন দীপেন্দু দুয়ারির করা একমাত্র গোলে রেনবোকে হারায় জহর দাসের দল। এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এক জায়গায় পৌঁছে গেল পিয়ারলেস। অর্থাৎ রবিবার লিগের শেষ দিনই বোঝা যাবে কে হবে এ বারের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন।
আগের ম্যাচে না খেললেও এ দিন দলে ফিরে আসেন পিয়ারলেসের সেরা স্ট্রাইকার ক্রোমা। শুরু থেকেই চাপ রেখেছিলেন পিয়ারলেস ফুটবলাররা। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ১০ মিনিটের মাথায় বাঁ-প্রান্তে বল ধরে টপ বক্স থেকে ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে পিয়ারলেসকে এগিয়ে দেন দীপেন্দু দুয়ারি। তার ঠিক ২ মিনিট পরেই ক্রোমার শট বারে লেগে ফেরে।
মাঝে মধ্যে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন রেনবো ফুটবলাররাও। কিন্তু পঙ্কজ মৌলা, ফুলচাঁদ হেমব্রমদের জমাট ডিফেন্স ভাঙা সম্ভব হয়নি। পিয়ারলেসও বেশ কিছু সুযোগ পায়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ক্রোমারা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে রেনবো। সুজয়, অভিজিৎ, ফেলিক্স চিডিরা চাপ বাড়ান। সেইসময় বেশ কিছু ভালো সেভ করেন পিয়ারলেসের গোলকিপার অরূপ দেবনাথ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সাবধানী খেলা খেলতে শুরু করে দেয় পিয়ারলেস। আক্রমণের থেকে ডিফেন্সেই নজর দেয় তারা। ফলে আক্রমণের চাপ বেশি ছিল রেনবোর। কিন্তু গোলের মুখ খুলছিল না। এর মধ্যেই ক্রোমার গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। ৬২ মিনিটে ক্রোমার জোরালো শট ফের একবর বারে লেগে ফেরে। নইলে ব্যবধান অনেকটাই বাড়াতে পারত পিয়ারলেস। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানেই শেষ হয় খেলা। এর ফলে ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে একই জায়গায় পিয়ারলেস ও ইস্টবেঙ্গল। যদিও গোল পার্থক্যে পিয়ারলেস এগিয়ে (পিয়ারলেসের ১১ ও ইস্টবেঙ্গলের ৭)।