মুম্বইয়ের পরে এবার পুণে। ভারী বর্ষণের কারণে কার্যত স্তব্ধ পুণে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত অত্যধিক বৃষ্টির কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ সাধারণ মানুষ। দেওয়াল চাপা পরেও বেশ কিছুজন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
বুধবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে পুণেতে। শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন জলমগ্ন। পুরানো বাড়ির দেওয়াল ধসে ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৪ জন। জলে ডুবে যাওয়া এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে। দমকলের এক অফিসার বলেছেন, শহরের জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৫০০ জনকে বুধবার রাতে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও দুর্গতদের ত্রাণের কাজ চলছে।
উদ্ধারকাজে নেমেছে দমকল বাহিনী৷ পুণে শহর জুড়ে এনডিআরএফের তিনটি দল উদ্ধার ও ত্রাণ বিলির কাজে নেমেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবারও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সারা মহারাষ্ট্র জুড়ে। প্রবল বৃষ্টির জেরে নাজারে বাঁধ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার জেরেই এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারের প্রতি সংবেদনা জানিয়েছেন এবং সরকারের তরফ থেকে সব মানুষদের সাহায্য করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার প্রত্যক্ষভাবে সকল কাজের তদারকিও করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।