রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষজনের জন্য এই মুহূর্তে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। যাঁরা বিপিএল তালিকার আওতায় নেই, তাঁদের জন্য আসছে আলাদা কার্ড। কিন্তু তা ব্যবহার করে রেশন দোকান থেকে সস্তার চাল,চিনি,আটা কেনার উপায় নেই। কিন্তু এই খামতি পুষিয়ে দেবে অন্য একটি সুবিধা। বিত্তশালীরা তাঁদের স্মার্ট কার্ড দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংস্থার বিপণি থেকে চাল,আটা,চিনি বাদে গেরস্থালির অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন। এবং কেনাকাটায় নির্দিষ্ট ছাড়ও মিলবে।
রেশন দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী তুলবেন না, কিন্তু ডিজিটাল ফরম্যাটে একটি ‘স্মার্ট রেশন কার্ড’ প্রয়োজন, এমন দাবি রয়েছে রাজ্যের বহু মানুষের। এঁদের আয় মাসিক ১৫ হাজার টাকার বেশি। নতুন ১০ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে এই অংশের মানুষজনকেই ডিজিটাল রেশন কার্ড দেবে রাজ্য। এমনই পরিকল্পনা নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাচ্ছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। নতুন ১০ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন মানুষদের ডিজিটাল রেশন কার্ড বিতরণের কর্মসূচি চলছে।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার বলেন, “একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে সরকারের। যারা রেশন দোকানে নন পিডিএস (চাল—আটা—চিনির মতো গণবণ্টনের বাইরে থাকা) সামগ্রী সরবরাহ করে। সেই সংস্থার আউটলেটেই বিত্তশালীরা যাতে ছাড়ে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”