জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সমস্ত শাখায় আমিষ খাবার বর্জনের ডাক দিল পশ্চিম রেল। জানানো হয়েছে, ওই দিন তাদের কোনও শাখার ট্রেনে আমিষ খাবার দেওয়া হবে না। একটা দিনের জন্য সব নিরামিষ খাবার দেওয়া হবে যাত্রীদের। এমনকী রেলওয়ে চত্বরেও কোনও আমিষ খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই যাত্রীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে পশ্চিম রেল।
একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিম রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার এফ এম গৌরব জানিয়েছেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ২ বছর ধরে নানা কর্মসূচি চলবে। এবছর পশ্চিম রেল ২ অক্টোবর দিনটিকে ‘নিরামিষ দিবস’ হিসেবে পালনের অঙ্গীকার করেছে। পশ্চিম রেলের গোটা চত্বরে কোনও আমিষ খাবার দেওয়া হবে না। সব স্টেশন মাস্টারকে এই নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরাও নিজেদের স্টেশন চত্বরে কোনও আমি খাবার ঢুকতে না দেন’।
এই মুহূর্তে পশ্চিম রেলে মেল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট ৯৩৯টি ট্রেন চলে। গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মোট ছ’টি শাখায় ৫১০ রেলওয়ে স্টেশন পশ্চিম রেলের অংশ। প্রতিদিন প্রায় ৪৪ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। কর্মীসংখ্যা ১ লক্ষ। যে সব সংস্থা পশ্চিম রেলের বিভিন্ন স্টেশনে বাইরে থেকে খাবার সরবরাহ করে, গান্ধীজয়ন্তী উপলক্ষে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার দেওয়ার নয়া বিজ্ঞপ্তি পৌঁছে গিয়েছে তাদের কাছেও। এক আধিকারিক জানালেন, ‘ডিম-সহ সমস্ত আমিষ খাবার আমাদের চত্বরে একেবারে নিষিদ্ধ হচ্ছে ওই দিনের জন্য।
গত বছরও একই দিনে রেলওয়ে আমিষ খাবার বর্জন করার ডাক দিয়েছিল। তবে প্রবল যাত্রীবিক্ষোভের মুখে গোটা দেশের সমস্ত শাখায় এই সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করা যায়নি। এবছর পশ্চিম রেলের এই বিজ্ঞপ্তিতে কতটা সাড়া পড়বে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই। কারণ, অনেকেই নিরামিষ খাবার খেতে পছন্দ করেন না একেবারেই।