আজ যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল বনাম মহামেডান ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলকে হারালেই লিগ খেতাবের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে মহমেডান। তার পরে শুক্রবার পিয়ারলেস বনাম রেনবো ম্যাচ বারাসতে ড্র হলে প্রায় চার দশকের কাছাকাছি সময় পরে অধরা কলকাতা লিগ খেতাব আসতে পারে মহমেডানে। অন্য দিকে, মহমেডানকে হারালেই ২০ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে ইস্টবেঙ্গল। পিয়ারলেস যদি বাকি দুই ম্যাচে রেনবো বা জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে পয়েন্ট নষ্ট করে, তা হলে শেষ ম্যাচে কাস্টমসকে হারালেই ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে তাঁর প্রথম ট্রফি শতবর্ষে সমর্থকদের উপহার দেবেন আলেসান্দ্রো। দুই কোচই তাই পাখির চোখ করছেন বৃহস্পতিবারের ম্যাচে। আর বৃহস্পতিবার ম্যাচ ড্র হলে সুযোগ বাড়বে পিয়ারলেসের। তাই ক্রোমাদের চোখও আজ বড় ম্যাচে।
তবে আজ ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী আলেহান্দ্রো। তিনি বললেন, ‘চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। ৩ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে ফুটবলাররা। তবে মহমেডান ম্যাচে ফলাফল যা–ই হোক না কেন, মনে করি এখনও পর্যন্ত দল ঠিক পথেই এগোচ্ছে। ভাল পারফর্ম করেছে। প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। ভুললে চলবে না, গত মরশুমে এই পর্যায়ে আমরা খেতাবি দৌড়ে ছিলাম না।’
আলেহান্দ্রো আরও বলছেন, ‘সবচেয়ে আগে দরকার জেতা। ৩ পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত করে গোল বাড়ানোর কথা ভাবা যাবে।’ প্রতিপক্ষ মহমেডান পরপর দু’ম্যাচে মোহনবাগান ও পিয়ারলেসকে হারিয়ে দুরন্ত ছন্দে আছে। খেলা হয় মাঠে, মুখে নয়। বলতে দ্বিধা নেই ইস্টবেঙ্গলের খেলার অযোগ্য মাঠে ভাল ফুটবল কখনও সম্ভব নয়। তার মাঝেও ফুটবলাররা সেরা দিয়ে ম্যাচ জিতেছে। মহমেডান নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। তবে আমার ফুটবলাররা ওদের মোকাবিলায় তৈরি। ওদের স্ট্রাইকাররা যেমন গোলের মধ্যে আছে, তেমন এটাও সকলকে মনে করাতে চাই, আমার দল সবচেয়ে কম গোল খেয়েছে এবার। তাছাড়া আমাদের নবীন ফুটবলাররা নজর কেড়েছে অনেক ম্যাচে। এটা একটা ইতিবাচক দিক’।
সেই ১৯৮১ সালের পরে কলকাতা লিগ আর আসেনি মহমেডান তাঁবুতে। সে বারের কলকাতা লিগে ১৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ছিলেন মানস ভট্টাচার্য। মহমেডান টিডি অবশ্য বিপক্ষকে সমীহ করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আলেহান্দ্রোর মতো বড় মাপের কোচ, খাইমে সান্তোস কোলাদো, হোয়ান মেরার মতো ফুটবলার রয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। তবে সল্টলেকে খেলা হওয়ায় আমাদের সুবিধা।’’
ইস্টবেঙ্গলে যখন অস্ত্র কোলাডো, হোয়ান মেরা, মার্তি ক্রেসপিরা, তখন মহমেডানের ভরসা আফ্রিকার ফুটবলার আর্থার, জন চিডি ও করিম ওমোলাজারা। মহমেডান শিবির সূত্রে খবর, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলা দলের উপরেই ভরসা রাখছেন দীপেন্দু। ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে তাঁর অস্ত্র অমল দত্তের সেই ডায়মন্ড সিস্টেম। মহমেডান টিডি বলছেন, ‘‘অমল স্যরের ডায়মন্ড সিস্টেমে প্রেসিং ফুটবল খেলেই বাঙালি ছেলেরা চমকে দিয়েছিল। আমার দলেও সাত জন বাঙালি। ডায়মন্ড সিস্টেমেই খেলব ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। দেখিয়ে দিতে হবে বাঙালিরাও পাসিং ফুটবল খেলতে জানে।’’