এবার এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজাভাতখাওয়ার বনবস্তিতে দিলীপের পথ আটকান এক মহিলা। সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘পাঁচ মাস আগে মারা গিয়েছেন আমার স্বামী। তাঁর কোনও নথিপত্র আমার কাছে নেই। তা হলে কি আমায় সন্তান-সহ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে’?
এমন সটান প্রশ্নে থতমত খেয়ে যান দিলীপ ঘোষ। অস্বস্তিতে পড়েন তাঁর সঙ্গীরাও। ওই মহিলা বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি অসমে। ২৬ বছর আগে রাজাভাতখাওয়ায় আমার বিয়ে হয়। মাস ছয়েক আগে আমার স্বামী মারা যান। কিন্তু তাঁর যাবতীয় নথি ’৯৩-এর বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। সবাই বলছে, সেগুলি না মিললে দুই মেয়েকে নিয়ে আমায় দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কাছে বিষয়টা স্পষ্ট করে জানতে চাই’।
প্রশ্ন শুনে কিছুটা থমকে যান দিলীপ ও তাঁর সঙ্গীরা। শেষে দিলীপ ওই গৃহবধূকে তিনি বলেন, ‘আপনার কোনও নথির প্রয়োজন নেই। শুধু আপনি নিজে থাকলেই হবে। প্রয়োজনে আমাদের বলবেন’। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এনআরসি নিয়ে তাঁর এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করেছে তৃণমূল। দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘ঠিকঠাক নথি থাকা সত্ত্বেও আসামে যেখানে প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ পড়ে গেল, সেখানে রাজাভাতখাওয়াতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন নথির প্রয়োজন নেই। আসলে এনআরসি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিক্ষোভ এড়াতেই মিথ্যা কথা বলেছেন।