যাদবপুরকান্ডকে কেন্দ্র করে এদিন ফের পথে নামল বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। আর এই মিছিলকে ঘিরেই ধুন্ধুমার বাঁধল দক্ষিণ কলকাতার সেলিমপুর-যোধপুর অঞ্চলে। এদিন যোধপুর পার্কে এবিভিপির মিছিল আটকানো হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে ছাত্ররা। সেই ইটের ঘাটে এক মহিলা পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
পালটা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পুলিশ। মাথায় হেলমেট পরে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মিছিলে হিংসা যাতে অবলম্বন করা না-হয়, সে জন্য মাইকিং করছে পুলিশ। অপরদিকে, এবিভিপি-র মিছিল আটকাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান বিক্ষোভ করছে এসএফআইও। সেই বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও শিক্ষাকর্মীদেরও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ করা হয়েছে, এই অভিযোগে সোমবার প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয় এবিভিপি। গোলপার্ক থেকে যাদবপুর অভিযানের ডাক দেয় তারা। সেই মতো, এ দিন গোলপার্কে বেলা ১২ টা থেকে জমায়েত শুরু হয়। মূলত কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কর্মী-সমর্থকরা গোলপার্কে দুপুরে জমায়েত শুরু করে।
বেলা দেড়টা নাগাদ মিছিল এগোতে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। তবে যোধপুর পার্কে মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পতাকা ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। মাইকিং করে পুলিশ জানায়, ইট ছোড়া হলে মিছিলকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হবে। ছাত্রছাত্রীরা চাইলে ব্যারিকেডের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারে। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবিভিপি।
অপরদিকে, এবিভিপির কর্মসূচির পাল্টা জমায়েত শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। পড়ুয়াদের পাশাপাশি অধ্যাপকরাও এ দিন ক্যাম্পাসের চার নম্বর গেটের কাছে জমায়েত করেন। পড়ুয়ারা যাতে কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দেন, সেই কারণেই রাস্তায় রয়েছেন অধ্যাপকরা। শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ছাত্ররা যাতে প্ররোচিত হয়ে কোনও ভুল পদক্ষেপ না করে ফেলে, তার উপর আমাদের লক্ষ্য থাকবে।’ শিক্ষাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার খাতিরেই প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাঁরা সর্বতভাবে চেষ্টা করবেন।