চলতি মাসেই আসামে প্রকাশিত হয়েছিল চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা। সেখানে বাদ গেছে প্রায় ১৯ লক্ষ নাগরিকের নাম। সেই নিয়েই চরম আতঙ্কে দিন কাটছে সবার। তার ওপর তাঁদের মনে জুড়ে বসেছে ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে অজানা আতঙ্ক। সেটাই আর সহ্য করতে পারলেন না আসামের হাজোই জেলার রহিম উদ্দিন (৪৭)। সোমবার নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় কৃষক রহিম। এই নিয়ে আসামের এনআরসির ফলে মৃত্যু হল পঞ্চাশের বেশি মানুষের। তাঁর মৃত্যুর পর এনআরসি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী।
মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে আফজল জানিয়েছেন, ‘এনআরসি তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বাবা খুব মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু অফিসার বাবাকে ভয় দেখিয়েছিলেন, মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে, সেইসঙ্গে ভুগতে হবে জেলের সাজাও। এরপরই তিনি হতাশ হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন।’ আফজল নিজে কেরালার একটি হোটেলে কাজ করেন।
বিষয় হল, ২০১৮ সালে ৩০ জুলাই অসমের যে এনআরসি লিস্টের খসড়া প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নাম ছিল রহিম উদ্দিনের। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় নাম নেই তাঁর। এই দ্বিচারিতা কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তাঁর পরিবার। যদিও এর সদুত্তর দেওয়ার মত কেউ নেই।