প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই বিরোধীরা তৃণমূলের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ শুরু করে দেন। কিন্তু কলকাতায় পা দিয়েই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে যে অনড় রয়েছে তৃণমূল তাও জানিয়ে দিলেন। পাশাপাশি রাজভবনের বিবৃতির পর আরও একবার এই বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে,”যাদবপুর নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান বদল হয়নি। উপাচার্য, অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের রাজ্যপাল সুবিচার পাইয়ে দেবেন বলে প্রত্যাশা করি।”
বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। তারা জানায়, তাঁকে ক্যাম্পাসে না যাওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারকে একটু সময় দিতে আর্জি জানান। কিন্তু, রাজ্যপাল কোনও কথা না শুনে বিজেপি নেতাকে সাহায্য করতে পৌঁছে যান।
তৃণমূলের বক্তব্য খণ্ডন করে শুক্রবার সকালে রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, তিনি যেমন একদিকে রাজ্যপাল, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও। আর আচার্য হওয়ার সুবাদে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক। অভিভাবক হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলেন আচার্য ধনখড়।
তৃণমূলের গতকালের অবস্থানেই অনড়। তারা জানিয়েছে, ”আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদকে আমরা সম্মান করে এসেছি। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, পড়ুয়াদের সুবিচারের ব্যবস্থা করা উচিত রাজ্যপালের। শিক্ষক ও ছাত্রদের পাশে রয়েছি আমরা।”
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের জবাব, সমস্যার সমাধানে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। ছাত্রদের যারা মেরেছে ও ভাঙচুর করেছে, তাদের শাস্তি হবে। উপাচার্যের সুস্থতা কামনা করি। যাদবপুর একটি স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে না। এইরকম ভাবেই নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করে দিলেন তৃণমূল।