অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে ময়দানে নামলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বাইরে নিয়ে যেতে পারেননি তাঁকে। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি সন্ধ্যা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশকে ঢুকতে দিতে রাজি হননি উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। ফলে শেষপর্যন্ত বাবুলকে উদ্ধার করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালেন রাজ্যপাল স্বয়ং।
জানা গেছে, এ দিন দুপুরে এবিভিপির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছতেই বিক্ষোভ শুরু করে একদল পড়ুয়া। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বাবুলের পথ আটকানো হয়। তখন নিরাপত্তারক্ষীদের চেষ্টায় কোনওক্রমে অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট হলে পৌঁছন বাবুল। সেখানে অনুষ্ঠান সেরে তিনি যখন বেরতে যান, তখন আরও বড় জমায়েত নিয়ে পথ আটকায় বিক্ষোভকারীরা। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে বাবুল সুপ্রিয় বেরতে পারছেন না দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরও কিছু জওয়ানকে সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে, সে খবর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও পৌঁছয়। তিনি উপাচার্যকে নির্দেশ দেন যে কোনও মূল্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করতে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ডাকার পরামর্শও দেন রাজ্যপাল। একই অনুরোধ বাবুল নিজেও করেন। কিন্তু উপাচার্য তাতে রাজি হননি। তিনি জানিয়ে দেন যে, পদত্যাগ করতে রাজি আছেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ডাকবেন না কিছুতেই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয় ছাত্রছাত্রীদের মারতে মারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছেন। তিনি ক্ষমা না চাইলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বেরতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপাচার্যের ভূমিকায়। উপাচার্য উপযুক্ত পদক্ষেপ না করাতেই পরিস্থিতির এই রকম অবনতি ঘটেছে বলে রাজভবন সূত্রে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এবং তারপর খোদ রাজ্যপাল নিজে পৌঁছন ক্যাম্পাসে।