জয় দিয়ে যাত্রা শুরু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এই মরশুমে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই জয় পেল কোহলি বাহিনী। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন ধারাতেই সফল টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত পারফম্যান্স ভারত অধিনায়কের। বিরাট শোতে মাতল মোহালির স্টেডিয়াম। প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশ হয়নি দর্শকেরা।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রোটিয়ার ওপেনার হেনড্রিক্স ৬ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক কুইন্টন ডি’কক ও বাভুমা পার্টনারশিপ গড়েন। ভালো গতিতেই রান তুলতে থাকতেন তাঁরা। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টি ২০ ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করেন ডি’কক। কিন্তু তারপরেই নবদীপ সাইনির বলে দুরন্ত ক্যাচে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান বিরাট। তিন নম্বরে নাম বাভুমার ব্যাট থেকেও আসে ৪৯ রানের ইনিংস। দুই সেট ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরেই রানের গতি কমে যায়। শেষ দিকে ভালো বল করেন দীপক চাহার, হার্দিকরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুটো ছক্কা মারলেও ১২ করে আউট হন রোহিত শর্মা। তারপর পার্টনারশিপ গড়েন শিখর ধাওয়ান ও কোহলি। তাঁদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল দুজনেই ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু ৪০ রানের মাথায় ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম সেরা ক্যাচ ধরে ধাওয়ানকে ফেরান মিলার। পন্থও দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যান। কিন্তু একদিকে ছিলেন অধিনায়ক কোহলি। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন তিনি। এ দিন নিজের ২২ নম্বর হাফসেঞ্চুরি করলেন কোহলি। টপকে গেলেন রোহিতকে। রানের বিচারেও রোহিতকে টপকালেন বিরাট। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারের শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন শ্রেয়স আইয়ার। কোহলি ৫২ বলে ৭২ ও আইয়ার ১৬ করে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ের ফলে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।
