মোদী জমানার প্রথম ৫ বছরে এলআইসি ১০ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে। এর মধ্যে বেশির ভাগই রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। আর এই সমস্ত বিনিয়োগই হয়েছে ইক্যুইটি রুটে। এবার প্রকাশ্যে এল এই তথ্য। একইসঙ্গে রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী জমানায় এলআইসি তথা ভারতীয় জীবন বিমা সংস্থার উপর নির্ভরতা কতটা বেড়েছে তার ছবিও স্পষ্ট হল।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক আইডিবিআই-এর কথাই ধরা যাক। এই ব্যাঙ্কের মূলধন খাতে ২১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গত বছর ৫১ শতাংশ মালিকানা নিয়েছিল এলআইসি। কিন্তু আইডিবিআই-এর লোকসান এতোটাই হয় যে এলআইসি-র ওই বিনিয়োগেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। ফলে সরকার ও এলআইসি-কে আইডিবিআই-তে ফের মূলধন খাতে টাকা ঢালতে হয়েছে।
এ মাসের গোড়াতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মূলধন খাতে ৯,৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে। এর মধ্যেও ৪৭৪৩ কোটি টাকা যাবে এলআইসি-র পকেট থেকে। এ ছাড়াও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্কেও টাকা ঢেলেছে এলআইসি। এনটিপিসি, এনএইচপিসি, এনবিসিসি, হিন্দুস্তান কপার এবং কোল ইন্ডিয়ার শেয়ার বিলগ্নীকরণের সময় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে ভারতীয় জীবন বিমা সংস্থা।
এ বছর ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী এলআইসি-র মোট সম্পদের পরিমাণ ৩১ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের বিপুল পরিমাণ আমানত রয়েছে। আর এই পরিসংখ্যানই অনেকের মনে উদ্বেগের ছাপ ফেলছে। বিরোধী নেতাদের মতে, মোদী জমানায় অর্থনৈতিক অব্যবস্থা কোন স্তরে পৌঁছেছে তা ক্রমশই বেআব্রু হয়ে পড়ছে। দেশের সব থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক সংস্থা এলআইসি। তাদের সম্পদ ও বিনিয়োগ বিপন্ন হলে দেশের বহু লক্ষ মানুষ বিপাকে পড়তে পারেন।