দেশে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তা একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এই মন্দার আভাস ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। শেষ কোয়ার্টারে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ, এই তথ্যও তাঁকে অবাক করেছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর।
বিরোধীরা বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করছেন, দেশে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি চলছে। অথচ, সরকার তা স্বীকার করতেই রাজি নয়। বাস্তবিক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অটোমোবাইল, হাউসিং, ফুড প্রসেসিংয়ের মতো সেক্টরে বেনজির মন্দা চলছে। সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে অটোমোবাইল সেক্টর। মহিন্দ্রা, মারুতি সুজুকি, রয়্যাল এনফিল্ড-এর মতো প্রথম সারির গাড়ি বা বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও লোকসানে চলছে। এমনকী, চাহিদার অভাবে কর্মী ছাঁটাই এবং উৎপাদন বন্ধের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এই সংস্থাগুলিকে।
এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের অস্বস্তি খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন শক্তিকান্ত দাস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই আর্থিক মন্দার আভাস মিলছিল। ব্যাংক মন্দার আভাস পেয়েছিল বলেই ৩৫বেসিক পয়েন্ট কমানো হয়েছিল রেপো রেট’। শক্তিকান্ত দাস আরও বলেন, ‘তখনই স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মন্দার। ব্যাংকও সেটা জানত। এবছরের প্রথম কোয়ার্টারের জিডিপি আমাদের অবাক করেছে। পরবর্তী কোয়ার্টারের ফলাফল না আসা পর্যন্ত কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এখনই অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধার করা নিয়ে কিছু বলার মতো অবস্থায় আমরা বা সরকার কেউই নেই।‘