পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে গেছে চীন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে বিপাকে ফেলতে নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। মাসখানেক আগেই বেজিং সফরে গিয়েছিলেন দেশের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে তাতেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি ঘটেনি। কারণ দিনকয়েক আগেই সীমান্তে ফের উত্তেজনা বাড়ে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। লাদাখে পরস্পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষের জওয়ানরাই। আর এবার সামনে এল, জলপথে ভারতের ওপর নজরদারির চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে চীনের যুদ্ধজাহাজের অস্তিত্ব মিলেছে। এই ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় নৌসেনাকে এখন এ প্রশ্নই ভাবিয়ে তুলেছে যে, তবে কি পাকিস্তানকে পেছনের দরজা দিয়ে সাহায্য করতে চাইছে চীন? তা না হলে জলপথে নজরদারির চেষ্টা করছে কেন তারা?
প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌসেনার নজরদারি বিমান পি-৮১’র ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চীনের যুদ্ধজাহাজ শিয়ান ৩২-এর ছবি। পরে দক্ষিণ ভারত মহাসাগর থেকে শ্রীলঙ্কার জলসীমানায় ঢুকে পড়ে জাহাজটি। এই লুকোচুরির কারণ খুঁজছে নৌসেনার আধিকারিকরা। এমনকী ভারতীয় নৌসেনা সূত্রে খবর, ভারত মহাসাগরে যে রণতরী দেখা গিয়েছে, ওই রণতরীটি সাধারণত এডেন উপসাগরে মালবাহী জাহাজকে নিরাপত্তা দিতেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, রণতরীটি ভারত মহাসাগর দিয়ে যাওয়ার সময়ই ছবি তোলা হয়। উল্লেখ্য, চলতি বছরে প্রতি তিন মাস অন্তর বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে নজরদারি চালাতে দেখা গিয়েছে চীনের নৌবাহিনীকে। ফেব্রুয়ারিতেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের মাঝ দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের হাইনান নৌঘাঁটিতে পৌঁছেছিল তিনটি চীনের যুদ্ধজাহাজ।