রাস্তার চারধারে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ব্যানারে ঢেকে যায়। হয় কোনো কোম্পানির, নয়তো রাজনৈতিক দলের। তবে সব ব্যানার লাগানোর উপযুক্ত অনুমতি থাকে না। সেইরকমই এক ব্যানার মাথায় পড়ে চেন্নাইয়ে এক টেকি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। তার জেরেই শহরের বেআইনি হোর্ডিং ও ফ্লেক্স ও ব্যানার চিহ্নিত করতে স্পেশাল টিম গঠন করে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন। শনিবার শহর ঘুরে, তারা বেআইন হোর্ডিং চিহ্নিত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, ৩,৪০০ বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিয়ে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ২৩ বছরের ইঞ্জিনিয়ার শুভশ্রী রাভি। মাঝপথেই তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে শাসক দলের বেআইনি হোর্ডিং। আর তাতে টাল সামলাতে না-পেরে স্কুটি থেকে পড়ে যান শুভশ্রী। আর তার পর একটি জলের ট্যাঙ্কারের চাকা চলে যায় তাঁর উপর দিয়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে চেন্নাই-এর পল্লভরম-থোরাইপক্কম রেডিয়াল রোডে। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে পথচারীরা তাঁকে দ্রুত কাছের এক হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু ডাক্তাররা জানান, নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়ে শুভশ্রী রাভি মৃত্যুর জন্য প্রাক্তন এআইএডিএমকে কাউন্সিলর সি জয়গোপালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। চেন্নাই পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পরেই রাস্তার ধারে টাঙানো বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিনের পর দিন রাজনৈতিক হোর্ডিং লাগানো থাকলেও তা খোলা হয় না। এ বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারকে নিশানা করেছে ডিএমকে। এম কে স্টালিন বলেন, সরকারের উদাসীনতায় প্রাণ গেল উঠতি ইঞ্জিনিয়ারের। মৃত্যুর জন্য তিনি সরকারের গাফিলতি ও পুলিশের দায়িত্ববোধের অভাবকে দায়ী করেছেন। এআইএডিএমকে দলের শাসনকে ‘ক্ষমতালোভি, নৈরাজ্যবাদী শাসন’ বলে উল্লেখ করেছেন।