দিলীপ ঘোষ, লকেট চ্যাটার্জির মতো বিজেপি নেতারা বারবার বাংলায় এনআরসি হবে বলে জিগির তুলছেন। এই জিগির আসলে ‘রাজনৈতিক প্রচার’। এমনই মনে করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক কে এন গোবিন্দাচার্য। এক সময় তিনি বিজেপি–র সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
এনআরসি নিয়ে বিজেপি যে অবস্থান নিয়েছে তার বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে সঙ্ঘের এই প্রাক্তন প্রচারক। তাঁর মতে, নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আরও সংবেদনশীল, আরও মানবিক হওয়া উচিত। দিল্লীতে এক প্রশ্নের জবাবে গোবিন্দাচার্য বলেন, ‘এনআরসি–র বিরোধিতা কেউ করছে না। বাংলার নেত্রী মমতা ব্যানার্জি সংসদে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। অনুপ্রবেশের সমস্যা সবাই বোঝেন। কিন্তু, অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনা একটা সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধান না করে অন্য রাজ্যে এনআরসি চালু করার কথা বলা অর্থহীন। এমন মন্তব্য রাজনৈতিক প্রচার ছাড়া কিছু নয়’।
অর্থনীতির শ্লথ গতি নিয়েও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন গোবিন্দাচার্য। এ জন্য উদারীকরণ নীতিকে দায়ী করে গোবিন্দাচার্য বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি ঘরোয়া উৎপাদন ও ব্যয় নির্ভর হওয়া উচিত। ভোগ্যপণ্যের বিক্রি ও জিডিপি–র ওঠানামার পরিবর্তে সমাজের প্রান্তিক ব্যক্তির অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণকেই উন্নয়নের মাপকাঠি হিসেবে দেখা উচিৎ’। তাঁর মতে, ‘দেশে ৩০ বছর আগে অর্থনৈতিক উদারনীতি চালু হয়েছিল। বর্তমানে সেই নীতির পর্যালোচনা করার সময় এসেছে’। নরেন্দ্র মোদী সরকার পাশ্চাত্য দেশের অর্থনীতি অনুসরণ করছে, এই অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমেরিকার অর্থনীতি অনুসরণ করি, তাহলে ভারত অচিরেই ব্রাজিল হয়ে যেতে পারে।’ বরং এখন দেশের উদারনীতির সমীক্ষা করুক মোদী সরকার’।