একেবারে দিনক্ষণ মেপে চাঁদে নামছিল বিক্রম। দক্ষিণ মেরুর কাছে। যেখানে আগে কোনও দেশের যানই পা রাখেনি। কিন্তু চাঁদের মাটি থেকে আকাশে ২.১ কিলোমিটার উপরে থাকার সময় আচমকাই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর মিশন কন্ট্রোলের। ব্যাঙ্গালোরের ইসরো প্রাঙ্গনে পা রেখে এই দুর্ভাগ্য নাকি বয়ে এনেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! এবার এমনই দাবি করে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।
কুমারস্বামীর দাবি, মোদী অপয়া। তাই মোদীর ইসরোতে যাওয়াটা বিজ্ঞানীদের জন্য ভালো লক্ষণ ছিল না। তিনি গিয়েছিলেন বলেই চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিজ্ঞানীদের। ব্যর্থ হয়েছে ইসরোর অভিযান।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন যে তিনিই স্বয়ং চন্দ্রযান-২-কে অবতরণ করাচ্ছেন। ২০০৮-এ এই অভিযান সরকারের অনুমোদন পায়। বিজ্ঞানীরা ১০-১২ বছর ধরে রীতিমত কঠোর পরিশ্রম করেছেন এই অভিযানের জন্য। আর তিনি এলেন শুধু বিজ্ঞাপনের জন্য। তিনি ইসরো সেন্টারে পৌঁছতেই বিজ্ঞানীদের জন্য দুর্ভাগ্য এসে উপস্থিত হয় বলে আমার ধারণা।’
প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণ দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ করতে ব্যাঙ্গালোরে ইসরোর অফিসে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সফট ল্যান্ডিং-এ ব্যর্থ হয় ল্যান্ডার বিক্রম। তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ইসরোর বিজ্ঞানীদের। পরে যদিও দেখা গেছে, বিক্রম চাঁদেই রয়েছে। তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।