মুসলিম ছাত্রীদের অসম্মান করায় ফের শিরোনামে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। জানা গেছে, বোরখা পড়ে কলেজে আসায় ঢুকতে দেওয়া হয় নি কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে ফিরোজাবাদের এসআরকে কলেজে। এই ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোরখা পড়ে কলেজে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ বোরখা কলেজ ইউনিফর্ম এর মধ্যে পড়ে না। কলেজের অধ্যক্ষ প্রভাকর রাই বলেছেন, ‘এটা কলেজের পুরনো নিয়ম। ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র সহ কলেজে আসতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া চলার সময় সব নিয়ম মানা হয় না। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া এখন শেষ হয়ে গেছে। তাই ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজ ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র সহ আসতে হবে। বোরখা ইউনিফর্মের অন্তর্গত নয়। কলেজ যে ইউনিফর্ম ঠিক করে দিয়েছে তা পড়েই আসতে হবে পড়ুয়াদের।’
এক তরুণী এই ঘটনায় বেশ বিরক্ত। তিনি বলেছেন, ‘বোরখা পড়ে আসায় আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জোর করে কলেজের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে।’ অবশ্য অতীতেও এই কলেজে এরকম ঘটনা ঘটেছে। বোরখা পড়ে আসায় ছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জেলাশাসক চন্দ্র বিজয় সিং গোটা বিষয়টি কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে গেছেন। তাঁর কথায়, ‘ঘটনাটি সম্পর্কের বিশদে শুনেছি। এটা পুরোপুরি কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিছু ছাত্রীকে কলেজের তরফে বলা হয়েছে সঠিক ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র সহ প্রবেশ করার জন্য।’ ছাত্রীরা দাবি করেছিলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি বোরখা খুলে ফেলার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। সেই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকারে কি কলেজ কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করতে পারে?